নিজস্ব প্রতিনিধি: কুলতলিতে (Kultali) বিশেষভাবে সক্ষম নাবালিকাকে (Minor Girl) ধর্ষণের (Rape) অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার (Arrest) করল পুলিশ (Police)। রবিবার ধৃতকে আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ধর্ষণের ঘটনায় খতিয়ে দেখা হচ্ছে নাবালিকার এক প্রতিবেশীর ভূমিকাও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম তাপস সাঁপুই। অভিযোগ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলতলিতে ২৫ ডিসেম্বর প্রতিবেশী এক মহিলার সঙ্গে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় বিশেষভাবে সক্ষম এক নাবালিকা। সেদিন ডাক্তারখানার ঠিক পাশের দোকানের মালিক কিশোরীর সঙ্গে আলাপচারিতা করে তাকে দোকানের ভিতরে ডেকে নিয়ে যায়। অভিযোগ, দোকানের ভিতরে নাবালিকাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে ওই ব্যক্তি। এই ঘটনায় মানসিকভাবে ভীষণ ভেঙে পড়ে কিশোরী। ভয়ে কারোর কাছে মুখ খুলতে পারেনি সে। পরে পরিবারের লোকজনের কাছে ঘটনার কথা জানায় সে। প্রসঙ্গত নির্যাতিতা নাবালিকার মা – বাবা আগেই প্রয়াত হয়েছেন। বাবা মায়ের মৃত্যুর পর জ্যেঠুর কাছে থাকত সে। শনিবার রাতে নির্যাতিতার পরিবারের তরফে কুলতলি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে দোকানের মালিক তাপস সাঁপুই নামের ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অন্যদিকে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পাশাপাশি প্রতিবেশী মহিলার ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানিয়েছেন, এক বিশেষ ভাবে সক্ষম নাবালিকা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে আমাদের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। আমরা অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতকে রবিবার বারুইপুর আদালতে তোলা হবে।