নিজস্ব প্রতিনিধি: কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু(tapan kandu) খুনের ঘটনায় ভাড়াটে খুনীদের খোঁজে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিল পুরুলিয়া (purulia police) জেলা পুলিশের দু’টি টিম, একটি টিম পৌঁছে গিয়েছে বিহারের গয়ায়। আরেকটি টিম গিয়েছে ঝাড়খণ্ডের রামগড়ে।
অন্যদিকে এই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ধৃত মূল ষড়যন্ত্রকারী তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দু ও তার সহযোগী আসিফ খানকে রবিবার পুরুলিয়া আদালতে তোলা হয়। এদিন সকালেই তাদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয় দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। রবিবার আদালতে ধৃত নরেন কান্দু ও আসিফ খানকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। নরেন কান্দু ও আসিফ খানকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শনিবার পুলিশ তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দু এবং কুটিডি গ্রামের বাসিন্দা আসিফ খানকে গ্রেফতার করে। সিটের আধিকারিকেরা দাবি করেন, কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে সুপারি কিলার দিয়ে তপনকে খুন করার চক্রান্ত করে দাদা নরেন কান্দু। আসিফ খানের বাড়িতে বসেই খুনের চক্রান্ত করেছিল অভিযুক্তরা।
কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের ঘটনায়(tapan kandu murder case) শনিবার পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হল নিহত তপন কান্দুর ভাইপো দীপক কান্দু, দাদা নরেন কান্দু, ঝাড়খন্ডের জরিডি থানা এলাকার বাসিন্দা কলেবর সিং ও ঝালদা থানার কুটিডি গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আসিফ খান।
বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয় ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার জরিডি থানার গাইছাদ গ্রামের বাসিন্দা কলেবর সিংকে। তাকে জেরা করে নরেন কান্দু ও আসিফ খানের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এরপর তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পাশাপাশি কলেবর সিংকে জেরা করেই দুই ‘ভাড়াটে খুনি’-র নাম-ঠিকানা পায় পুলিশ। গত ১৩ মার্চ বিকালে খুনের ঘটনার দিন মোটরবাইকে যে তিন জন আততায়ী ছিল তারমধ্যে ওই দুই ভাড়াটে খুনী ছাড়াও আরেকজন কে ছিল, তাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। কলেবরকে জেরা করে উঠে এসেছে, তারা আরও একটি মোটরবাইকে চেপে এসে এই খুনের অপারেশনে দূর থেকে নজর রাখছিল। যাতে খুনের পর খুনীদেরকে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদ জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া যায়। তবে এখনও এই ঘটনায় বেশ কিছু রহস্য-সুত্র রয়ে গিয়েছে।