নিজস্ব প্রতিনিধি, নদিয়া ও বাঁকুড়া: নদিয়া থেকে বেশ কিছুদিনের ধরে আফিম পাচার হচ্ছিল। এমনই খবর ছিল পুলিশ সূত্রে। সেই কারণেই নদিয়ায় বিশেষ অভিযান চালাচ্ছিল পুলিশ এবং এসটিএফ।পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আফিম পাচার করা হচ্ছে রানাঘাটে(Ranaghat)। পরবর্তীতে লালবাজার এসটিএফ, রানাঘাট পুলিশের সহযোগিতায় বিশেষ টিম হানা দেয় রানাঘাটের নাসরা এলাকায়। সেখানেই এসটিএফ এর কাছে হাতেনাহাতে আফিম সহ এক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তির নাম রাজু মন্ডল, বাড়ি রানাঘাট ধানতলা থানার হালালপুরে। পুলিশ সূত্রে আরও খবর এদিনের অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ১০ কেজি আফিম(Narcotics Drug)। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা। ধৃত ব্যক্তি রেলের কর্মী।ধৃতকে এসটিএফ(STF) এর আধিকারিকরা গ্রেফতার করে নিয়ে আসে রানাঘাট থানায়। সেখানেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ধৃতকে। তবে কথা থেকে এত পরিমানে আফিম তার কাছে এলো এবং কোথায় কোথায় এই পাচারের জাল ছড়িয়ে আছে তা জানতে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে এসটিএফ। যদিও এই ঘটনায় সাময়িক চঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।তবে পুলিশ জানিয়েছে ধৃতকে রানাঘাট আদালতে পাঠানো হয় ।আদালত সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
অন্যদিকে,বড়জোড়ার কয়লা খাদানের ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু এক। কয়লা খাদানের পরিত্যাক্ত অংশে কয়লা কাটতে গিয়ে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হল স্থানীয় এক ব্যাক্তির। আজ সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের নর্থ ব্লক কোলিয়ারিতে। এই ঘটনায় সাময়িক ভাবে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের বাগুলি এলাকায় নর্থ ব্লক খোলামুখ খনিতে কয়লা উত্তোলনের কাজ করে রাজ্য সরকারের পাওয়ার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। খোলামুখ সেই কয়লা খনির একাংশে কয়লা শেষ হয়ে যাওয়ায় খনির ওই অংশ পরিত্যাক্ত খাদের আকারে পড়ে রয়েছে। সেখানেই পড়ে থাকা নিম্ন মানের কিছু কয়লা সংগ্রহ করতে প্রায় প্রতিদিনই খাদে নামে স্থানীয়দের একাংশ।
অন্যান্য দিনের মতোই শনিবার সকালে পরিত্যক্ত ওই কয়লা খাদে নেমে পড়ে থাকা কয়লা সংগ্রহ করছিলেন স্থানীয় মালিয়াড়া গ্রামের বছর ৩৬ এর বাসিন্দা কার্তিক বাউরী। আচমকাই কয়লা খনির ওই অংশে মাটির ছাদ ধসে পড়লে মাটিতে চাপা পড়ে যান কার্তিক বাউরী। দ্রুত স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ শুরু করেন। কিন্তু ধসের মাটি সরিয়ে তাঁকে উদ্ধারের আগেই কার্তিক বাউরীর মৃত্যু হয়। পুলিশ ও প্রশাসনের নাকের ডগায় কীভাবে বে আইনী ভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই কয়লা কুড়োনোর কাজ করে আসছে স্থানীয়দের একাংশ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের দাবী অভাবের তাড়নাতেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই কাজ করে আসছেন স্থানীয়রা। পুলিশ ও প্রশাসন বারবার বাধা দিলেও সেই নিষেধ শোনেনা স্থানীয়রা। ফলে মাঝে মধ্যেই ঘটে যাচ্ছে দুর্ঘটনা।