নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: স্বতন্ত্র হুগলি জেলা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে বাংলার রসগোল্লাকে জিআই স্বীকৃতি লাভের পঞ্চম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে হুগলি জেলার চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে সাধারণ মানুষের হাতে সোমবার রসগোল্লা তুলে দেওয়া হল। পৃথিবীখ্যাত বাংলার রসগোল্লা(Rasogolla) নিয়ে গর্ব সকলেরই। সাধারণ মানুষ আনন্দিত এই রসে ভরা রসগোল্লা খেয়ে। এই বিষয়ে স্বতন্ত্র হুগলি জেলা কমিটির সম্পাদক শৈবাল মোদক জানিয়েছেন, যে সাধারণ মানুষকে মিষ্টি দিতে পেরে তারা খুশি।
কারণ এই রসগোল্লা জি আই স্বীকৃতি পাওয়ায় সেই আনন্দে গত পাঁচ বছর ধরে এই অনুষ্ঠান করে আসছে তারা। হুগলি জেলার পাশাপাশি কলকাতাতেও এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, হুগলি(Hooghly) জেলা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক শৈবাল মোদক। আজ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার পৌর প্রধান অমিত রায় ,উপস্থিত ছিলেন হুগলি জেলা সভাপতি অরিন্দম গুইন। এদিন চুঁচুড়ার মোড়ে এই রসগোল্লা বিতরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের উৎসাহ ও উপস্থিতি ছিল নজর কাড়ার মতো।
মোট ৬০০০০ রসগোল্লা এদিন চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড় থেকে বিতরণ করা হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে। মিষ্টান্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সর্বপ্রথম হুগলি জেলার ব্যান্ডেলে মিষ্টি তৈরি শুরু হয়েছিল ।তাই এই এলাকাকে তারা বেছে নিয়েছে রসগোল্লার জিআই ট্যাগ পাওয়ার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে। দীর্ঘদিন ধরে রসগোল্লা কার বাংলার না উড়িষ্যার, এই নিয়ে লড়াই ছিল ।অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(CM Mamata Banerjee) উদ্যোগে আদালত রায় দেয়। সেই রায়ে রসগোল্লা বাংলা সম্পদ সেই স্বীকৃতি মেলে। গোটা বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে ইন্টারনেটে বা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইডে রসগোল্লা শব্দটি ব্যবহার করলেই পশ্চিমবঙ্গের নাম জ্বলজ্বল করে ফুটে উঠবে ।এমনটা হয়েছে জিআই ট্যাগ পাওয়ার পর, দাবি হুগলি জেলা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির।