নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যসভার বাদল অধিবেশন চলাকালীন বিক্ষোভ দেখানোর কারণে সাসপেন্ড করা হয়েছে ১৯ জন রাজ্যসভার সাংসদকে। এঁদের মধ্যে ৭ জন তৃণমূল সাংসদ। সাসপেন্ড হওয়ার পর তৃণমূল (TMC) সাংসদদের (MP) দাবি, আগে কংগ্রেস শূন্য দেশ চাইত বিজেপি। এখন চায় বিরোধী শূন্য দেশ। বারবার সাসপেন্ড করার ঘটনায়, একথাই প্রমাণিত হয় বলে দাবি জোড়াফুল শিবিরের।
মঙ্গলবার বাদল অধিবেশন চলাকালীন ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানো ও স্লোগান দেওয়ার কারণে সাসপেন্ড করা হয় ১৯ জন সাংসদকে। এঁদের মধ্যে ৭ জন সাংসদ তৃণমূলের। সবুজ শিবিরের এই ৭ সাংসদ- দোলা সেন, নাদিমুল হক, ডা: শান্তনু সেন, সুস্মিতা দেব, শান্তা ছেত্রী, আবিররঞ্জন বিশ্বাস, মৌসূম নূর। জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের। সংসদের দাবি, স্লোগান ও বিক্ষোভের জেরে ২০ মিনিট স্তব্ধ ছিল অধিবেশন। উল্লেখ্য, গতকাল লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ৪ কংগ্রেস সাংসদকে। বিক্ষোভ দেখানোর জন্যই সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের। জানা গিয়েছে, রাজ্যসভার সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের সাসপেনশন জারি থাকবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার সাংসদদের সাসপেন্ড করার পর সংসদের বাইরেও বিক্ষোভ দেখিয়ে স্লোগান দেন তাঁরা। মেঘালয় সংক্রান্ত প্রস্তাবিত বিলের বিরোধিতা করেছিলেন তাঁরা।
সাসপেন্ড হওয়ার পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিরোধী কন্ঠকে স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। মন্ত্রী তাপস রায় বলেন, রাজ্যসভায় বিরোধীরা যাতে কোনও প্রতিবাদ জানাতে পারে সেই জন্য এই ব্যবস্থা করে বিজেপি। সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, বিরোধী কন্ঠস্বর আটকাতেই কিছু শব্দ, ভাষা ও ধর্নার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।