নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম: গুনিনের শুভবুদ্ধি উদয়ের পরেও বাঁচানো গেলো না সাপে কামড়ানো এক মহিলাকে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের(Sakrail Block)দহবাড় এলাকায়। পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব ওই মহিলার নাম বিপাশা মাইতি(Bipasa Maity)। মৃতার ছেলে ঝন্টু মাইতি (Jhantu Maity)জানান, রান্নাঘরে রান্নার সময় এই ঘটনা ঘটে। শুকনো পাতার মধ্যে সাপটি কখন ঢুকে ছিল বিপাশা দেবী জানতেই পারেননি।
সাপে কাটার পর পরিবারের লোকজন সঙ্গে সঙ্গে বিপাশা দেবীকে গ্রামেরই এক গুনিন এর কাছে নিয়ে যান। কিন্তু গুনীন বাড়ির লোকদের স্থানীয় হসপিটালে যাওয়ার উপদেশ দেন। সেইমত হসপিটালে আনার সময় বিপাশা দেবীর মৃত্যু হয়। সরকারের শত চেষ্টার পরেও গ্রামের কিছু মানুষের মধ্যে এখনও অন্ধ বিশ্বাস রয়ে গিয়েছে তার জ্বলন্ত প্রমাণ দহবাড়(Dahabar) এলাকার ঘটনা। সাপে কামড়ানোর পর স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে না নিয়ে গিয়ে গুনীনের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
এক্ষেত্রে অবশ্য গুণীন নিজেই তাদের সাস্থ্য কেন্দ্রের পরামর্শ দেন। তাও শেষ রক্ষা হয়নি। জঙ্গলমহল(Jangalmahal) সহ এই রাজ্যের বিভিন্ন অত্যন্ত গ্রামগুলিতে প্রতিনিয়ত বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে সাপে কাটা ব্যক্তিকে কোন গুনীন বা ওঝার কাছে নয়, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রচার চালানো হয় প্রতিনিয়ত। কিন্তু তারপরেও সমাজের বেশ কিছু কুসংস্কার আজও পুরোপুরি দূর করা সম্ভব হয়নি।