নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রায় দেড় দশক। কেননা খাতায় কলমে ১৩ বছর পার হয়ে গিয়েছে। ২০১০ সালের ২৭ মে। সেদিন থেকে এখনও অবধি দক্ষিণ-পূর্ব রেলের(South Eastern Railway) খড়গপুর(Kharagpur) ও ঝাড়গ্রামের(Jhargram) মধ্যে সরডিহা(Sardiha) স্টেশনের কাছে আজও রয়ে গিয়েছে বেশ কিছু দোমড়ানো-মোচড়ানো রেলের কঙ্কালের কামরা(Damaged Coaches)। হ্যাঁ এটাই সেই অভিশপ্ত জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনাস্থল(Gyaneshwari Express Accident)। এখনও সেখানে পড়ে রয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেনটির কিছু কামরা। সেই সব কামরা নিত্যদিন সেই দুর্ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেয় তাই না, এখন এলাকার বাসিন্দাদের কাছে রীতিমত ভূতুড়ে এলাকায়(Hunted Place) পরিণত হয়েছে। গত শুক্রবার ওড়িশার বাহানাগায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পরে সরডিহার অনেকেই মনে করছেন সেই এলাকাটিও সরডিহার মতোই ভূতুড়ে এলাকায় পরিণত হতে চলেছে। সরডিহার বাসিন্দাদের দাবি এখনও মাঝে মধ্যেই রাতের অন্ধকারে নাকি চারপাশের নিস্তব্ধতা খানখান করে আর্তনাদ ভেসে আসে। তখন চারপাশ যেন মৃত্যু উপত্যকার চেহারা নেয়।
আরও পড়ুন আর নয় ৩ শতাংশ, মমতার বঙ্গে DA এবার ৮ শতাংশ
জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পরে ঘটনার তদন্তে এলাকায় গিয়েছিলেন রেলের উচ্চপদস্থ কর্তারা। তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, নাশকতার কারণেই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছিল। আপ লাইনের প্যানড্রোল ক্লিপ খুলে দেওয়াতেই বেলাইন হয়েছিল জ্ঞানেশ্বরীর কামরাগুলি। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটির গতি ছিল ঘন্টায় ৭০কিমি। কিন্তু বিপত্তি বাধায় দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেনটিতে এসে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। সেই দুর্ঘটনায় সরকারি ভাবে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৪৯ জন যাত্রী। ওই দুর্ঘটনার পরে লাইন পরিষ্কার করে বিধ্বস্ত কামরাগুলি সরিয়ে রেল চলাচলও শুরু করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ওই ট্রেনের S-3, S-4, S-5, S-6, S-7 কামরাগুলির কঙ্কাল এখনও রয়ে গিয়েছে। সেই কঙ্কাল কামরাগুলি এখনও সেই দুর্ঘটনার দগদগে স্মৃতি নিয়ে লাইনের ধারে পড়ে রয়েছে। এখনও দিনের বেলাতেও সেই এলাকার বাতাস বেশ ভারী হয়ে থাকে, তেমনটাই দাবি, স্থানীয়দের।