নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৭তম জন্মদিনে সাতসকালেই রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের(West Bengal State Government Employees) মহার্ঘ্য ভাতার(DA) দাবিতে আন্দোলনের মঞ্চে গিয়ে সেখান থেকে বাংলাজুড়ে আগুন লাগানোর হুমকি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। তাঁর সেই বক্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শুভেন্দুর বক্তব্যকে এখনও বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) কোনও নেতানেত্রী প্রকাশ্যে সমর্থন জানাননি। কার্যত শুভেন্দুর বক্তব্য থেকে তাঁরা নিজেদের দূরেই রাখছেন। কেননা লোকসভা ভোটের মুখে রামমন্দির প্রতিষ্ঠার আবহে বাংলায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়লে তার দায়ভার বিজেপিকেই নিতে হবে। তাই শুভেন্দুর বক্তব্যের ধারেকাছেও থাকছেন না কোনও বিজেপি নেতানেত্রী। এই অবস্থায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) তরফে শুভেন্দুর বক্তব্যকে বাংলায় হিংসা ছড়ানোর ষড়যন্ত্র হিসাবেই তুলে ধরলেন কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)।
এদিন সকালে শুভেন্দু মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে আন্দোলরত সরকারি কর্মচারীদের মঞ্চ থেকে রীতিমত হুমকি দিয়ে বলেন, ‘রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ শহিদ মিনারে ৩৬২ দিন ধরে অবস্থান চালাচ্ছে। সম্প্রতি তাদেরই একটি কয়েকজন আমরণ অনশন শুরু করেছেন। প্রায় ৭২ ঘণ্টা হতে চলল অনশন। এদের কারও যদি কিছু হয়, তা হলে বাংলায় আগুন জ্বলবে। যারা আমরণ অনশনের পথে হাঁটছেন, তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী চাকরি খাওয়ার ভয় দেখাচ্ছেন। যারা নিজেদের দাবি বুঝে নিতে প্রাণের পরোয়া করেন না, তাঁদের চাকরি খাওয়ার ভয় দেখানো যায় না। অমিত শাহ এসে আমাদের দলকে বলে গিয়েছেন, নিঃশর্ত ভাবে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনের পাশে থাকতে হবে। আমরা সেই মতোই পাশে আছি। আপনারা নবান্ন অভিযান ডাকুন। আমি থাকব।’ শুভেন্দুর এই বক্তব্যকেই রাজ্যের শাসকদল ‘গভীর চক্রান্তের ইঙ্গিত’ হিসাবেই দেখছে বলে এদিন কুণাল জানিয়ে দিয়েছেন।
শুভেন্দুর বক্তব্য প্রসঙ্গে এদিন কুণাল জানিয়েছেন, ‘সরকারি কর্মচারীরা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের ওই মঞ্চ বিরোধীদের রাজনীতি করার মঞ্চে পরিণত হয়েছে। সেখানে গিয়ে শুভেন্দু যা বলেছেন তা রাজ্যকে অশান্ত করার কোনও গভীর চক্রান্ত, ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত। পুরনো ভিডিয়ো সামনে এনে রাজ্যে অশান্তি করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি। এখন নতুন চক্রান্ত হচ্ছে। রাজ্য সরকার কেন্দ্রের থেকে বকেয়া পাচ্ছে না। কিন্তু তা নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মুখে কোনও কথা নেই। এখন তাঁদের মঞ্চ থেকেই বাংলায় আগুন লাগানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’ শুভেন্দু যে এদিন আগুন লাগানোর হুমকি দিয়ে তৃণমূলকে বিপাকে ফেলতে গিয়ে বিজেপিকেই বেশি করে বিপাকে ফেলে দিয়েছেন এটা এখন অনেক বিজেপি নেতাই মানছেন। তাঁদের দাবি, শুভেন্দুর দাবি দল সমর্থন করে না।