নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের বিস্ফোরক বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ(BJP MP) সৌমিত্র খাঁ(Soumitra Khan)। রবিবার পূর্ব বর্ধমান(Purba Burdhwan) জেলার দক্ষিণ সদর মহকুমার খণ্ডঘোষে(Khondoghosh) একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন সাংসদ। সেখানেই তিনি শাসকদলকে তুলোধোনা করে রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের উদ্দেশ্য রীতিমত হুমকি দেন। সেই সঙ্গে দুর্নীতি ইস্যুতে ৬০০ কোটি টাকার বালি পাচারের(Sand Smuggling) অভিযোগও শানেন। আর এই বালি পাচারের অভিযোগে রীতিমত তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। কেননা এতদিন রাজ্যের নানা প্রান্তে বালি মাফিয়াদের হুজ্জতি, অবৈজ্ঞানিক ভাবে বালি তোলার জেরে দুর্ঘটনা, শাসক দলের নেতাদের বালি কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা শোনা যেত। কিন্তু বালি পাচারে কত কোটি টাকা মুনাফা হচ্ছে তা জোর গলায় কেউ বলতে পারেননি। এবার কিন্তু সৌমিত্র সেটাই করে দিলেন। সাফ জানালেন রাজ্যের একশ্রেনীর পুলিশ আধিকারিক থেকে ওসি মায় হোমগার্ডরা ৬০০ কোটি টাকার বালি পাচারের দুর্নীতিতে যুক্ত।
ঠিক কী বলেছেন সৌমিত্র? এদিন খণ্ডঘোষের মাটিতে দাঁড়িয়ে সৌমিত্র রীতিমত হুমকি শানেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার রক্ষকদের উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু থানার ওসি বালি কেলেঙ্কারিতে যুক্ত। কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। আমি ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছি। জেলা প্রশাসনের যারা বালি পাচারে বা কোনও কেলেঙ্কারিতে যুক্ত, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দু্র্নীতিতে যুক্ত প্রত্যেককে মানিক ভট্টাচার্য করে দেব। মানিকবাবুকে যেভাবে লুকিয়ে বেড়াতে হচ্ছে, দুর্নীতিতে যুক্ত সবাইকে সেভাবে পালাতে হবে। ৬০০ কোটি টাকার বালি কেলেঙ্কারি হয়েছে।’ যদিও সৌমিত্রের এই দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘পাগল-ছাগল অনেক কিছু বলে। গুরুত্ব দেওয়ার কারণ নেই।’
উল্লেখ্য, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে রয়েছেন পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার তলব করেছিল ইডি। তিনি মাত্র একবার হাজিরা দেন। তাঁর এবং পরিবারের সম্পত্তির নথি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইডির সেই তলবে গুরুত্ব দেননি। তাঁর সঙ্গে ফোনেও কোনওভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলেই ইডি সূত্রে খবর। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে সিবিআই মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতেই লুকআউট নোটিস জারি করে। তিনি দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন, এই আশঙ্কা করে তাঁকে রোখার জন্য দেশের সমস্ত বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে সেই নোটিস পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যদিও শুক্রবার যাদবপুরের বাড়ির বারান্দায় দেখা গিয়েছিল মানিক ভট্টাচার্যকে।