নিজস্ব প্রতিনিধি: গোপন সূত্রে খবর এসেছিল আগেই। সেই খবরের ভিত্তিতেই অভিযান চালিয়ে মিলল বড়সড় সাফল্য। উদ্ধার হল ৮১ হাজার ডিটোনেটর। গ্রেফতারও হল ১জন। কিন্তু তার পরের প্রশ্ন নিয়েই এখন কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনিক কর্তাদের। চিন্তিত এসটিএফ(STF) কর্তারাও। রাজ্য পুলিশের(West Bengal State Police) স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফের কাছে আগেই খবর এসেছিল যে বীরভূম(Birbhum) জেলা হয়ে প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটি ম্যাটাডোরে করে হাজার হাজার ডিটোনেটর পাচার করা হচ্ছে। কিন্তু কোথায় তা পাচার করা হচ্ছে আর কেনই বা তা পাচার করা হচ্ছে সেই খবর ছিল না। এমনকি কারা এই চক্রে জড়িত তাও জানা যাচ্ছিল না। তাই ডিটোনেটর ভর্তি গাড়ি আটকে রহস্যের সমাধান করতে উদ্যোগী হন এসটিএফ আধিকারিকেরা। সেই পথে নেমেই এসেছে প্রাথমিক সাফল্য। কিন্তু এখন এসটিএফ কর্তাদের ভাবাচ্ছে এই বিশাল পরিমাণ ডিটোনেটর কোন কাজের জন্য পাচার করা হচ্ছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে বীরভূম জেলার সদর শহর সিউড়ির(Suri) অদূরে তিলপাড়া ব্যারেজের কাছে নির্দিষ্ট সেই গাড়িটিকে চিহ্নিত করতে পারেন এসটিএফ আধিকারিকেরা। সেখান থেকেই তাঁরা ওই ম্যাটাডোরটির পিছু নেন। বেশ কিছুটা গিয়ে মহম্মদবাজার এলাকার প্যাটেলনগরে তাঁরা গাড়িটিকে ধরেও ফেলেন। আর তখনই বস্তা বস্তা ডিটোনেটর উদ্ধার হয় সেখান থেকে। গুনে দেখা যায় মোট ৮১ হাজার ডিটোনেটর রয়েছে সেখানে। আর তাতেই চোখ কপালে ওঠে এসটিএফ কর্তাদের। ওই ম্যাটাডোরের চালককে গ্রেফতার করে এদিন তাকে সিউড়ি জেলা আদালতে তোলা হয়। এই ম্যাটাডোর চালককে জেরা করেই এসটিএফ কর্তারা এই রহস্যের সমাধান করতে চান। প্রাথমিক ভাবে এসটিএফ কর্তাদের ধারনা মাওবাদীদেরই এই ডিটোনেটর সরবরাহ করা হচ্ছিল। দুমকা হয়ে তা ঝাড়খণ্ডে পাচার করা হচ্ছিল। যদিও ম্যাটাডোর চালক সুনীল কেওরা পুলিশকে জানিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জ এলাকা থেকে ডিটোনেটরগুলি রামপুরহাটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।