এই মুহূর্তে




১০ বছরের সমস্যা মিটে গেল ১০ দিনেই, নেপথ্যে অভিষেক, জমির দখল পেল ১৬ পরিবার

Courtesy - Facebook




নিজস্ব প্রতিনিধি: খোদ মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছিলেন জমির পাট্টা। কিন্তু সেই জমির দখল পাননি পাট্টাদাররা। বার বার ব্লক প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসনে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। মাঝে কেটে গিয়েছে ১০-১০টি বছর। এবার পাট্টাদাররা যোগাযোগ করলেন রাজ্যের শাসক দলের সেনাপতি সঙ্গে। আর সেটাই ম্যাজিকের মতো কাজ করল। ১০ বছরেও যে জমির দখল মেলেনি, সেটাই মিললো মাত্র ১০ দিনে। ঘটনাস্থল বাঁকুড়া জেলার(Bankura District) বড়জোড়া(Borjora) ব্লক। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ১৬টি পরিবারকে সাহায্য করা হবে ওই জমিতে বাড়ি বানাবার জন্য। যেহেতু জমি নিয়ে আর কোনও সমস্যা রইল না, তাই সেই জমিতে রাজ্য সরকারের প্রকল্প ‘বাংলার বাড়ি’র(Banglar Bari) অধীনে বাড়ি বানিয়ে দেওয়াও যাবে।  

আরও পড়ুন, ‘এই ধরনের মানুষদের মনোনয়ন দেওয়াই ঠিক নয়’, জহরকে নিশানা সৌগতের

ঠিক কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে, বড়জোড়া ব্লকের বেলিয়াতোড়ে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে মোট ১৮টি গৃহহীন, জমিহীন পরিবারকে ‘নিজ ভূমি নিজ গৃহ’ প্রকল্পে জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছিল। সেই পাট্টা আবার প্রদান করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। অথচ সেই জমির দখল তাঁরা পাননি। বেলিয়াতোড়ের নতুনগ্রাম মৌজায় সরকারি খাসজমিতে ওই ১৮টি পরিবারকে বসবাসের জন্য সেই জমি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই জমির দখল ছাড়ছিল না জমি মাফিয়াচক্র ও স্থানীয় একটি ক্লাব। তার জেরে পাট্টা পাওয়া পরিবারগুলি বার বার ব্লক প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসন অবধি অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও কিছুতেই কিছু কাজ হয়নি। ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর তাঁদের অভিযোগ কানে তোলেনি। বহুবার জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কাজ হয়নি। শেষে তাঁরা যোগাযোগ করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ডহারবারে থাকা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) কার্যালয়ের সঙ্গে। তাতেই কাজ হয়েছে।   

আরও পড়ুন, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে আবাস উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই শুরু

পাট্টাপ্রাপকদের তরফে মিলন দাস জানিয়েছেন, ‘জমির অধিকার না পেয়ে কখনও ব্লক ভূমি অফিসে, কখনও বাঁকুড়ায় জেলা ভূমি অফিসে ছোটাছুটি করেছি। প্রতিটি দফতরই বার বার ফিরিয়ে দিয়েছে। এক অফিসে গেলে অন্য অফিসে যেতে বলা হত। সেখানে গেলে আবার আগের অফিসেই ফিরিয়ে দেওয়া হত। আমরা লিখিত অভিযোগ জানাতে গেলেও দফতর তা জমা নেয়নি। এ ভাবে দশ বছর ধরে কেবল আমরা ঘুরেছি।’ এখন তাঁদের কাছ থেকে সব কিছু জানতে পেরে অভিষেকের কাছ থেকেই নির্দেশ গিয়েছিল জেলা প্রশাসনের কাছে। আর তারপরেই শুরু হয় তৎপরতা। রাতারাতি পাট্টাদারদের জন্য চিহ্নিত খাস জমি ১৮টি প্লটে বিভক্ত করে ১৬টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শুক্রবার পরিবারগুলিকে জমির দখল দেওয়া হয়েছে। পুজোর মুখে জমির দখল পেয়ে খুশি ওই পরিবারগুলি।

আরও পড়ুন, ‘একজন ছেড়েছেন, আরেকজনও ছাড়ুন,’ নাম না করেই জহর-সুখেন্দুকে নিশানা দেবাংশুর

এই প্রসঙ্গে বাঁকু্ড়ার জেলা শাসক সিয়াদ এন জানিয়েছেন, ‘সমস্যাটি আমাদের নজরে আসতেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওই পাট্টাদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের খাস জমির প্লট ভাগ করে বণ্টন করা হয়েছে। ২০১৩ সালে ৭টি এবং ২০১৪ সালে ১১টি পরিবার জমির পাট্টা পেয়েছিল। তাদের মধ্যে ১৬টি পরিবারকে জমির দখল দেওয়া হয়েছে। বাকি ২টি পরিবার কোথায় রয়েছে, খোঁজ নিচ্ছে প্রশাসন।’ তবে প্রশ্ন উঠছে, জমির দখল দিতে ১০ বছর লেগে গেল কেন? এই প্রশ্নের জবাবে মুখে কুলুপ আঁটছে জেলা প্রশাসন। তবে জমি পেয়ে খুশি ১৬টি পরিবার এখন দাবি তুলেছে, সরকারি প্রকল্পে তাদের বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হোক। সেই দাবির জেরে বড়জোড়ার বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায় জানিয়েছেন, ‘পাট্টাদারদের সরকারি প্রকল্পে বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। প্রশাসন সব রকম ভাবে পরিবারগুলির পাশে রয়েছে।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

এবার রেশন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্তসহায়কের বাড়িতে তল্লাশি ইডির

বাড়ির ৪০০ বছরের পুজোতে আজও নস্টালজিয়ায় ভাসেন মালা রায়

রাত করে বাড়ি ফেরায় বকুনি, মাকে খুনের চেষ্টার পরেও গায়ে আগুন মেয়ের

মুখ্যমন্ত্রীকে ইমেল Joint Platform of Doctors’র, বিকালে জমায়েতের ডাক

শক্তিগড়ে পথ দুর্ঘটনার বলি চিকিৎসকের স্ত্রী ও মেয়ে

সাগরে চোখ রাঙাচ্ছে গভীর নিম্মচাপ, ভাসবে গোটা বাংলা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর