নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার বুকে জায়গায় জায়গায় হানাদারি দিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা Enforcement Directorate বা ED প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা আটক করেছে। চলতি সপ্তাহে খোদ প্রধানমন্ত্রী(Narendra Modi) নদিয়া জেকার কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়কে ফোন করে জানান, ED যে টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে সেই টাকা তিনি বাংলার মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। সেই জন্য তিনি আইনি রাস্তাও দেখছেন। এদিন সেই ঘটনা তুলে ধরেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee) পাল্টা খোঁচা দেন। মোদি ও বিজেপি(BJP) কীভাবে বাংলার মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন, সোজা পাটিগণিতের হিসাবে তা জনসভার সামনে তুলে ধরেন। কার্যত মোদির প্রতিশ্রুতি যে কতটা ভুয়ো সেটা দুনিয়া শুদ্ধু লোকের সামনে তা তুলে ধরেন। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলপি(Kulpi) ব্লকের ঢোলাতে ছিল অভিষেকের কর্মীসভা। মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল(TMC) প্রার্থী বাপি হালদারের সমর্থনে এদিনের সেই কর্মীসভাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক খোঁচা দেন মোদিকে।
এদিন অভিষেক বলেন, ‘মোদি বলছেন ED যে ৩০০০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে তা তিনি মানুষদের ফেরত দেবেন। কাকে কাকে বলেছেন? বসিরহাটের প্রার্থী রেখা পাত্র, কৃষ্ণনগরের প্রার্থী আর তামিলনাড়ুর এক প্রার্থীকে। দেশের জনসংখ্যা কত? ১৪০ কোটি। এদের মধ্যে সেই টাকা যদি ভাগ করে দিতে হয় না তাহলে সবাই ২১ টাকা করে পাবে। তাহলে বুঝুন, ওরা আপনাদের কী চোখে দেখে! আপনাদের কী ভাবে! মাত্র ২১ টাকা দিয়ে ওরা আপনাদের কাছ থেকে ৫ বছরের জন্য ভোট কিনে নিতে চাইছে। দেবেন? এরাই আপনাদের বাড়ির টাকা ৫ বছর ধরে আটকে রেখেছে। ভোটের আগে এই দেব, ওই দেব করে অনেক জুমলা হয়েছে। ডায়মন্ডহারবারে তো প্রার্থী পাচ্ছে না। রাজ্যের চারটে আসন তো এখনও ফাঁকা রয়েছে। সেখানে ED Director, CBI Director, IT Director, NIA Director-দের এনে দাঁড় করাক। যত গরম পড়েছে, বিজেপির নেতাদের পাগলামি ততই বাড়ছে।’
এর পরেই অভিষেক বলেন, ‘আগামী পরশু দিন থেকে মাসে ১ হাজার ও ১২০০ করে টাকা পাবেন বাংলার সব মা-বোনেরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২ কোটিরও বেশি মহিলাকে লক্ষ্মীর ভান্ডার দিচ্ছেন। এর জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। এর জন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। যে বহুরকম গ্যারান্টি দিচ্ছে সে ২০০০ কিমি দূরে থাকে। ৮০০০ কোটির বিমানে চেপে বিদেশে যায়, আর ভোট আসলে ঘুরে বেড়ায়। আর একজন এখান থেকে ৫০ কিমি দূরে টালির চালের বাড়িতে থেকে মানুষের কাজ করে। বিজেপি বলছে লক্ষ্মীর ভান্ডার দেবে। আবার ৩ হাজার করে দেবে বলছে। ১৭ রাজ্যে আছে বিজেপি। সেখানে ৩ হাজার নয় ১৫০০ দিক। আমার ওপেন চ্যালেঞ্জ। লক্ষ্মীর ভান্ডার দিতে হবে না। এর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। আপনারা আগামী ৫ বছরের জন্য গ্যাস বিনামূল্যে করে দিন। যদি করতে পারেন তাহলে ৪২ আসনে প্রার্থী তুলে নেব।’