নিজস্ব প্রতিনিধি: খড়গপুর(Kharagpur) আইআইটি’(IIT)তে এক সংখ্যালঘু ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে(Students Unnatural Death) রহস্য ইতিমধ্যেই দানা বেঁধেছে। ছাত্রের বাবা ওই দেহ যে তাঁর ছেলের তা প্রথমে মানতেই চাইছিলেন না। পরে আবার তিনি দাবি তোলেন তাঁর ছেলেকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে দেওয়া হয়েছে। এবার সেই ছাত্রের মৃত্যুতে লেগে গেল রাজনীতির রঙ। রবিবার আইআইটি’র গেটে বিক্ষোভ দেখাল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC?)। এদিন আইআইটি’র গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব ও কর্মীরা। সেখানে বসেই আইআইটি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লাগাতার স্লোগান দিতে থাকেন ঘাসফুল শিবিরের সমর্থকরা। কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বারবার ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে সেই প্রশ্নও তোলা হয়। কাঠগড়ায় তোলা হয় প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টরকেও।
গত শুক্রবার আইআইটি’র হোস্টেল থেকে বছর ২৩’র ফয়াজ আহমেদ নামে এক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রের পচাগলা দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনার জেরে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে বসবাসকারী ওই ছাত্রের বাড়িতে খবর পাঠায় আইআইটি কর্তৃপক্ষ। সেই খবর পেয়ে শনিবার খড়গপুরে চলে আসেন ফয়াজের বাবা। কিন্তু মর্গে গিয়ে ছেলের দেহ দেখে তিনি প্রথমে অভিযোগ করেন, এই দেহ তাঁর ছেলের নয়। ছেলেকে তিনি চিনতেই পারছেন না। তাঁর ছেলের সঙ্গে ওই দেহের কোনও মিল নেই। তাঁর ছেলেকে কেউ বা কারা খুন করে অন্যত্র দেহ সরিয়ে দিয়েছে। যে দেহ তাঁকে দেখানো হয়েছে তা তাঁর ছেলের নয়। যদিও খড়গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষের দাবি, কেউ ফয়াজকে খুন করেনি। সেরকমের কোনও ঘটনাও ঘটেনি। ওই পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছে। এমনকি ফয়াজের বাবার দাবি যে ভুল তা তুলে ধরতে প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্টের কথাও জানায়।
সেই ঘটনার জেরেই রবিবার আইআইটি গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের নেতা ও কর্মীরা। তাঁদের তরফে তৃণমূলের জেলা কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতির(Ajit Maity) দাবি, ‘আইআইটি নিজেকে মঙ্গলগ্রহের জীব ভাবে। কোনও কেসেই তদন্ত করে না। ২০১৯ সালে একজন মারা গিয়েছে। ২০২০ সালে একজন মারা গিয়েছে। মাঝখানে দুজন সুবর্ণরেখা নদীতে ডুবে মারা গিয়েছে। তারপর কী করেছে আইআইটি কর্তৃপক্ষ? মৃতদের পরিবারের জন্য কী করেছে? এর একটা ডিরেক্টর সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকে তোষণ করে কমিশন পাওয়ার জন্য এইভাবে মানবসম্পদকে নষ্ট করে দিচ্ছে।’ অন্যদিকে ফয়াজের বাবা এদিন জানিয়েছেন, ‘আমার ছেলেকে জ্বালিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। ওর গোটা শরীর পুরো জ্বলে গিয়েছে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমি এখান থেকে যাব না।’