নিজস্ব প্রতিনিধি: রাক্ষুসে নিম্নচাপের জেরে জল যন্ত্রণায় ভুগছে শহরবাসি। ভোগান্তি বেড়েছে বৃহত্তর কলকাতার মানুষদের। এর মাঝে দু’দিনে মোট ছয়জনের মৃত্যু হল শুধুই বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়ে। গতকালই খড়দহ ও টিটাগড়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে মোট। আর আজ দমদমে মৃত্যু হল দুই কিশোরীর। খেলতে খেলতে লাইট পোস্টে হাত দিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে দুই বালিকা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে দমদমের বান্ধবনগরে। শ্রেয়া বনিক এবং অনুষ্কা নন্দী নামে দুই বালিকা খেলার ছলেই জলে ডুবে থাকা বিদ্যুৎ-এর খুঁটিতে হাত দেন, তারপরেই মৃত্যু হয় দু’জনের।
মৃত দুই কিশোরীর মধ্যে একজন ঝিলপাড়ার বাসিন্দা। প্রবল বৃষ্টির জেরে দমদমের বেশিরভাগ জায়গা এখন জলের তলায়। সেই জায়গাতেই মাঠে খেলছিল দুই বালিকা। পাশেই থাকা লাইট পোস্টটি জলের মধ্যে ছিল। সেটি আচমকাই হাত দিতেই মৃত্যু নেমে আসে, বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে স্পর্শ করতেই অপর এক নাবালিকার প্রাণ চলে যায়। দু’জনকেই আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মাঠেই প্রাণ গিয়েছিল দুই বালিকার। কিন্তু অচৈতন্য অবস্থায় মাঠে পড়ে থাকলে বাড়ির লোক হাসপাতালে নিয়ে যায় ও তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকেরা। বান্ধবনগর দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তগর্ত। সেখানকার কো অর্ডিনেটর সুরজিৎ রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘দু’জনকে আরজিকর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’ পরে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে দু’জনেরই। দুই শিশুর অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া। দু’টি পরিবারই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে।
গতকালই অর্থাৎ মঙ্গলবার খড়দহের পাতুলিয়ায় আবাসনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। জমা জলে বিদ্যুতের তার পড়ে থাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ওই পরিবারের তিনজন। মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে গিয়ে প্রথমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন গৃহকর্তা। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে এরপর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন স্ত্রী। শেষে মাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় বাড়ির বড় ছেলে। অন্যদিকে টিটাগড় থানার মোহনপুর উত্তরপাড়া এলাকায় মঙ্গলবার সকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক স্কুল পড়ুয়ার। মৃত কিশোরের নাম হীরালাল রায়।