এই মুহূর্তে




২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম নেই, আতঙ্কে বেঙ্গালুরুতে মৃত্যু নওদার পরিযায়ী শ্রমিকের

নিজস্ব প্রতিনিধি: SIR আতঙ্কে শিহরিত গোটা পশ্চিমবঙ্গ। ২০০২ সালে ভোটার লিস্টে নাম না থাকলেই দেশ ছাড়তে হবে, এই ভয়েই কাঁপছে বাংলার গ্রামগুলি। কিছুদিন আগেই খবরে এসেছিল যে, বীরভূমের একটি গ্রামের বাসিন্দা রা SIR-এর খপ্পরে পড়ার আগেই ব্যাঙ্ক থেকে সঞ্চিত টাকা তুলে নিচ্ছেন। যারা দাবি করেছিলেন, ২০০২ সালে তাদের ভোটার তালিকায় নাম নেই। কারণ তাঁদের বেশিরভাগ মানুষই বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। সুতরাং SIR-এ বাদ পড়বে তাদের নাম। স্বাভাবিক ভাবেই দেশ ছাড়তে হবে। তাই যেখানেই যান খেয়ে পড়ে যাতে বাঁচতে পারেন, তাই জমানো টাকা তুলে নিচ্ছেন। এছাড়া SIR-আতঙ্কে ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে বলি হয়েছেন ৮ থেকে ৯ জন রাজ্যবাসী। যাদের পরি বারের একটাই দাবি, SIR আতঙ্কের জন্যেই তারা আত্মহত্যা করেছেন। এই আবহে এবার আরও একটি মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এল।

জানা গিয়েছে, ২০০২ সালের SIR তালিকায় নাম না থাকার কারণে চিন্তায় চিন্তায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন মুর্শিদাবাদের ইসরাইল মোল্লা (৬৫)। হ্যাঁ তাঁর পরিবার SIR-কেই দাবি করেছেন। যিনি একজন পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন এবং বেঙ্গালুরুতে কর্মরত ছিলেন। তাঁর পরিবারের দাবি, SIR নিয়ে সে আতঙ্কে ছিল। সোমবার মৃত্যু হয়েছে তাঁর। আর বুধবার মুর্শিদাবাদে নওদার বাড়িতে তাঁর দেহ পৌঁছেছে। আর তাঁর দেহ বাড়িতে ফিরতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজন। ইসরাইলের ছেলে আশাদুল মোল্লা জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের কারও ২০০২-এর SIR তালিকায় নাম নেই। বাবা, কাকা মিলিয়ে তাদের পরিবারের মোট ১৮ জন সদস্য আছেন। কিন্তু কারও নামই নেই তালিকায়। ২০০০ সালের বন্যার সময়ে এক পাড়া থেকে অন্যত্র চলে এসেছেন তাঁরা তাই তাঁদের নাম তখন ভোটার তালিকায় ওঠেনি। সোমবার বিকেলে বাবাকে তিধি ফোন করে SIR-এর কথা জানান, এবং বলেন যে, ২০০২-এর ভোটার লিস্টে তাঁদের কারো নাম নেই। তা শুনেই চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ইসরাইল। এবং রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

বর্তমানে তাঁরা মুর্শিদাবাদের নওদা থানার বালি-২ পঞ্চায়েতের ছাতুমারা এলাকার কাছে মোমিনপুর এলাকায় বসবাস করছেন। SIR নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে দিন কয়েক আগে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুরে র একজন গৃহবধূ গায়ে আগুন লাগিয়ে মারা যান। এছাড়া সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের কান্দি থেকেও একজনের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গিয়েছিল। যিনি SIR আতঙ্কে কিটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পরিবার জানিয়েছে। ২০০২ সালে ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় কয়েকদিন ধরে আতঙ্কিত ছিলেন ওই ব্যক্তি। নিজের বাড়ি ঘড় ছেড়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে এই ভয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এছাড়া সোদপুর থেকেও একজন প্রবীণের আত্মহত্যার খবর পাওয়া যায়। তাঁর পরিবারেরও দাবি ছিল, SIR আতঙ্কেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।এদিকে SIR রুখতে রাজপথে প্রতিবাদে নেমেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে SIR। এখন দেখার পালা SIR আতঙ্কে আত্মহত্যার কথা শুনে আদৌ নির্বাচন কমিশন SIR বন্ধ করে কিনা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট

প্রকাশ্যে SIR এর ভিন্ন ছবি, গ্রামে ফিরে স্কুলপড়ুয়াদের খাওয়ালেন পরিযায়ী শ্রমিক

ফ্রিজের মধ্যে ফুলকপিকে জড়িয়ে রয়েছে সাপ, চাঞ্চল্য মালদহে

খড়িবাড়ির পর শিলিগুড়ি! জাল জন্ম ও মৃত্যু শংসাপত্র চক্রের হদিশ, ধৃত ১

ঐতিহাসিক মুদ্রা থেকে দেশ বিদেশের ডাকটিকিট, মাইক্রোবায়োলজিস্টের সংগ্রহ দেখলে চমকে যাবেন

চেন্নাইয়ে কাজে গিয়ে মৃত্যু, পরিযায়ী শ্রমিক অসীমের দেহ ফিরল বাহারি গ্রামে, শোকের ছায়া বীরভূমে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ