নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনের(General Election 2024) আগে উত্তরবঙ্গ(North Bengal) সফরে গিয়ে চা বাগানের শ্রমিকদের(Tea Garden Workers) দিকে বিশেষ ভাবে নজর দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। গতকাল আলিপুরদুয়ারে সরকারি পরিষেবাপ্রদান অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বন্ধ থাকা চা বাগানের কর্মরত শ্রমিকদের এবার থেকে রাজ্য সরকার ১৫০০ টাকা করে প্রতি মাসে দেবে। সেই সঙ্গে চা বাগানের যে সব শ্রমিকদের রাজ্য সরকার পাট্টা দিচ্ছে তাঁদের বাড়ি করবার জন্য রাজ্য সরকার ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেবে। সেই সঙ্গে ওই শ্রমিকদের বাড়ির মেয়ের বিয়ের জন্য রাজ্য সরকার ২৫ হাজার টাকা করেও দেওয়ার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্যের বন্ধ থাকা চা বাগানগুলি যদি মালিকেরা না খোলে বা তাঁদের সন্ধান না মেলে তাহলে সেই সব চা বাগান অধিগ্রহণ করবে রাজ্য সরকার। সেই কথা মিলিয়ে এদিন অর্থাৎ সোমবার জলপাইগুড়ি জেলার(Jalpaiguri District) বানারহাটে(Banarhat) মুখ্যমন্ত্রী ওই জেলারই বন্ধ থাকা ৬টি চা বাগান অধিগ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, জলপাইগুড়ির বন্ধ হয়ে যাওয়া ৬টি চা বাগান অধিগ্রহণ করবে রাজ্য সরকার। রায়পুর, রিয়াবাড়ি, ধরনীপুর, সুরেন্দ্রনগর, রেডব্যাঙ্ক চা বাগান বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। তার ফলে সমস্যায় পড়েছেন চা বাগানের বহু শ্রমিক। তাঁদের মুখে হাসি ফোটাতে এই সিদ্ধান্ত বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। চা বাগান অধিগ্রহণের কথা ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবেই নতুন আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন জলপাইগুড়ির চা শ্রমিকরা। উল্লেখ্য, উনিশের ভোটে আগে খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী ডুয়ার্সে সভা করতে এসে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন সব বন্ধ চা বাগান খুলে দেওয়া হবে। সবাই বিনামূল্যে রেশন ও বিদ্যুৎ পাবে। কিন্তু কোনও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি মোদি সরকার। মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু গতকালই জানিয়ে দিয়েছেন, বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের রাজ্য সরকার শুধু মাসে মাসে ভাতা দেবে তাই নয়, তাঁরা বিনামূল্যে রেশন, জল ও বিদ্যুৎও পাবেন। এদিন তিনি ৬টি বন্ধ চা বাগান অধিগ্রহণের ঘোষণা করে কার্যত বুঝিয়ে দিলেন তিনি যা বলেন সেটা বাস্তবেও করে দেখান।