নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভারত সর্বপ্রথম দেশ যারা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করেছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬.০৪ মিনিট নাগাদ নির্ধারিত সময়ে চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছে চন্দ্রযান-৩। তবে অবতরণের জন্য চাঁদের দক্ষিণ মেরুকেই কেন নির্বাচন করল ইসরো? কি এমন রহস্য রয়েছে এই দক্ষিণ মেরুতে? জানালেন ইসরো প্রধান এস সোমনাথ।
তিনি বলেন চন্দ্রযান-২ ব্যর্থ হওয়ার পর আবার নতুন করে সবকিছু শুরু করতে হয়েছিল। দ্বিতীয় মিশনে কি ভুল হয়েছে তা সংশোধনের চেষ্টা করা হয়েছে।গত দু’বছর পরীক্ষা চালানো হয়েছে। করোনা মহামারিকালীন বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবুও মূলস্রোতে ফেরা সম্ভব হয়েছে।
পাশাপাশি এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারের সময় তিনি জানান, চন্দ্রযান-৩ এর কৃতিত্ব বিশেষ কারণ অন্য কোনো মহাকাশযান চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে সফট ল্যান্ডিং করতে সক্ষম হয়নি। নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে এই দক্ষিণ মেরু গর্ত এবং গভীর পরিখায় পূর্ণ।চাঁদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ জল নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এই দক্ষিণ মেরুতে জল ও খনিজ পদার্থ থাকতে পারে। এছাড়াও এমন অনেক সম্পদ বা তথ্য মিলতে পারে যা রহস্যময়।
আগামী ১৪ দিন অর্থাৎ চাঁদের সময়ের হিসেবমাফিক ১ দিন ছয় চাকার রোভারটি চাঁদের পৃষ্ঠে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। ল্যান্ডার মডিউল চাঁদে নির্দিষ্ট কাজের জন্য পাঁচটি পেলোড বহন করছে। এই পাঁচটি যন্ত্র দক্ষিণ মেরুর অঞ্চলগুলি অন্বেষণের কাজ করবে বলেই জানা গিয়েছে।