নিজস্ব প্রতিনিধি: গত জুলাই মাসে নতুন জীবন শুরু করেছিলেন। বিয়ের দু সপ্তাহ পর ফ্ল্যাটের নীচে থেকে বধূর দেহ উদ্ধার হল। বাগুইআটির আমবাগান এলাকার একটি বহুতল আবাসনে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে নেমে তিতাসের স্বামীকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। তিতাসের বাপের বাড়ির অভিযোগ, ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে নীচেয় ফেলে দিয়েছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বধূর নাম তিতাস নন্দী। ২৮ বছর বয়স তাঁর। সম্প্রতি কৌস্তব সরকার নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। স্বামীর হাত ধরে নতুন জীবন শুরু করেছিলেন তিনি। বাগুইআটির আমবাগান এলাকার একটি বহুতলের এক ফ্ল্যাটে স্বামী কৌস্তব সরকারের সঙ্গে থাকতেন ওই তরুণী। কিন্তু শুক্রবার আচমকা ফ্ল্যাটের নীচে তিতাসের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত তরূনীর পরিবারের লোকজন জানান, তিতাস একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। স্বামী কৌস্তব সরকার পেশায় চিকিৎসক। স্থানীয়রা জানান, বিয়ের পর থেকে স্বামী স্ত্রী দুজনের মধ্যে অসান্তি ও ঝগড়া ঝামেলা লেগে থাকত। তার মাঝে শুক্রবার গভীর রাতে ফ্ল্যাটের নীচ থেকে তিতাসের দেহ উদ্ধার হল। স্থানীয়রা নাগেরবাজার থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। কীভাবে ওই তরুণীর মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করার পাশাপাশি মৃত বধূর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে মৃত বধূর বাপের বাড়ির লোকজনের তরফে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। তরুণীর পরিবারের দাবি স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোক তাঁদের মেয়েকে খুন করেছে। ঝামেলা হওয়ায় ছাদ থৎকে ঠেলে নীচেয় ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে ততদের অভিযোগ। এই ঘটনায় স্বামী কৌস্তবের পাশাপাশি তাঁর মা-বাবারও শাস্তি দাবি করেছেন তিতাসের পরিবারের সদস্যরা।