নিজস্ব প্রতিনিধি: কালীপুজোর দিন দীপান্বিতা অমাবস্যার তিথিতে সারা বাংলায় চলছে মায়ের আরাধনা। বাদ নেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। দেবীর ৫১ সতীপীঠের মধ্যে অন্যতম অসমের কামাখ্যা দেবীর মন্দির। দশমহাবিদ্যা রুপেই কামাখ্যায় মাকে পুজো করা হয়। সকাল থেকেই শুরু হয়েছে পুজো। প্রদীপের আলোতে মন্দিরের অপরূপ রূপ ফুটে উঠেছে। চলছে শ্রুতিমধুর ভজন-কীর্তন। প্রতি বছরের মত এবারও কালীপুজো ঘিরে সেজে উঠেছে ৫১ সতীপীঠের অন্যতম অসমের কামাখ্যা।
তবে করোনা আবহে সতর্ক মন্দির কর্তৃপক্ষ। করোনার টিকার ডবল ডোজের সার্টিফিকেট না থাকলে মন্দিরেই প্রবেশ করা যাবে না। বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ থেকেও ভক্তদের ঢল গিয়েছে অসমের কামাখ্যায়। সকাল থেকেই পুজো শুরু হয়েছে মায়ের। সারাদিন চলবে পুজো, সন্ধ্যায় হবে বিশেষ আরতি, কালীপুজো উপলক্ষ্যেই এই আরতি হবে বলে জানা গিয়েছে। ১৬৬৫ সালে কোচবিহারের মহারাজা নরনারায়ণ নীলাচল পাহাড়ের কোলে এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন, এটাই কথিত আছে। মা এখানে দশমহাবিদ্যা রূপে পূজিত হন। রয়েছে বলিপ্রথাও। কথিত আছে, বশিষ্ঠ মুনি এক সময় এই কামাখ্যাতে যজ্ঞ করেছিলেন।
সকাল থেকে সতীপীঠে নানান রীতি মেনেই চলছে পুজো। নিত্য পুজোর সঙ্গেই কালীপুজোর অমাবস্যা তিথিতে একে একে হবে মাননি পুজো, মহা লক্ষ্মীপুজো, কুবের পুজো। মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশের জন্য লাগবে বিশেষ অনুমতি। করোনার কারণেই এবারেও বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।