নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশের চর্চিত অভিনেত্রী পরীমণি। যাঁকে নিয়ে এদেশেও চর্চার শেষ নেই। দুই বাংলাতেই চর্চিত পরীমণি। বর্তমানে এক ছেলেকে নিয়ে তাঁর সুখের সংসার হলেও এখনও আইনি কোপে জর্জরিত অভিনেত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি মারপ্যাঁচ শুরু হয় ২০২১ সাল থেকে। যখন তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় মাদক দ্রব্য। তারপর থেকেই যুদ্ধ চলছে অভিনেত্রীর উপর দিয়ে। পরীমণির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের সময়কাল গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দেওয়া হলেও তা পিছিয়ে গিয়েছে। পরীমণির করা মারধর, হুমকি ও যৌন হয়রানির মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৩ মে রাখা হয়েছে।
সোমবার (৬ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু পরীমণি সাক্ষ্য দিতে আদালতে পৌঁছতে পারেননি। তাই তাঁর পক্ষের আইনজীবী আরও সময় আবেদন করলে আবেদন মঞ্জুর করেন। সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ মে মাসে ধার্য করা হয়েছে। গত বছর ২৯ নভেম্বর পরী মণি এ মামলায় সাক্ষ্য দেন।মামলার আসামিরা হলেন- নাসির উদ্দিন, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম। এদিন তার আদালতে হাজিরা দিলেও পরীমণির অনুপস্থিতির জন্যে মামলা পিছিয়ে যায়। ২
০২১ সালের ১৪ জুন নাসির উদ্দিন, ও অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে আসামি করে ঢাকার সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন পরী মণি। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাড়িতে র্যাব অভিযান চালিয়ে নায়িকার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে। মামলায় পরীমণির প্রথম দফায় চারদিন, দ্বিতীয় দফায় দুইদিন ও তৃতীয় দফায় একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। পরে তাঁকে অন্য কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতারের ২৬ দিন পর পরীমণিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে জামিন পান। একই বছরের ৪ অক্টোবর আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ঠিক যে কারণে পরীমণি ঢাকা বোর্ড ক্লাবের তিনজন সদস্যের উপর ধর্ষণ এবং হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনেছিলেন। সেই কারণেই পাল্টা অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মদ্যপান করে ক্লাব ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে পাল্টা FIR দায়ের করা হয়।