নিজস্ব প্রতিনিধি: দলের আদি নেতাকর্মীরা আজ হয় কেউ দল ছেড়ে দিয়েছেন, নতুবা বসে গিয়েছেন। দলের কোনও কর্মসূচিতেই আর তাঁদের দেখা মেলা না। নতুন যারা এসেছেন তাঁরাও আজ আছি কাল নেই মার্কা মনোভাব নিয়ে চলেছেন। ফলে দলের হাঁড়ির কথা যেমন আর গোপন থাকছে না, তেমনি কাজের সময়ে হাতের কাউকেই কাছে পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, মাঠে না নেমেই বলে দেওয়া হচ্ছে দলের কর্মসূচি ১০০ শতাংশ পালন করা হয়েছে আর তা সম্পূর্ণ সফলও। কিন্তু পরে দেখা যাচ্ছে সেই সব দিন দুপুরের গপ্পো ছাড়া র কিছুই নয়। এই ছবি দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের(Nishith Pramanik) জেলা, মানে কোচবিহারের(Coachbehar) ছবি। আর এই ছবিটা পঞ্চায়েত নির্বাচেনের(Panchayat Election) আগে বদল ঘটাতে সেখানে খোলা হল BJP’র নিজস্ব Call Center।
ঠিক কী হয়েছে? পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে BJP জেলায় বুথ সশক্তিকরণ কর্মসূচি শুরু করেছে। সেই কাজেই স্থানীয় নেতৃত্ব সঠিকভাবে এলাকায় এলাকায় যাচ্ছে কি না, কাজ কীরকম হচ্ছে সেইসব Call Center থেকে ফোন করে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। কোচবিহারে BJP তাদের পার্টি অফিসের ছাদে রীতিমতো Call Center বসিয়ে দলের সাংগঠনিক কাজের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে। Call Center-এ ১০-১২জন কর্মী তালিকা ধরে ধরে ফোন করে সংগঠনের কাজ কোথায় কেমন চলছে তার খোঁজখবর নিচ্ছেন। ওই Call Center থেকে ফোন করে জানানো হচ্ছে কোন বুথে কার, কী দায়িত্ব রয়েছে। দলের মণ্ডল স্তরের কার্যকর্তারাই বুথে বুথে গিয়ে কাজ করছেন। কোন বুথে কে কে আছেন তার তালিকা দলের জেলা নেতৃত্বের কাছে আছে। সেই তালিকা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁরা আদৌ বুথ স্তরে গিয়ে কোনও কাজ করছেন নাকি ঘরে বসে দলকে রিপোর্ট করছেন।
আর খাস নিশীথের জেলায় পদ্মপার্টির এহেন কম্মো দেখে এখন রীতিমত কটাক্ষ হানছে তৃণমূল(TMC)। তাঁদের তরফে দলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক(Abhijit Dey Bhowmick) জানিয়েছেন, ‘বিজেপি পার্টিটাই তো কলসেন্টার। মিসড কলে মেম্বারশিপ, কলসেন্টার থেকে ফোন করে পঞ্চায়েতের মনোনয়ন, এরপর ভোটের জন্যও কলসেন্টার থেকে ফোন করে ভোটারদের বলা হবে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে ওরা। মানুষের সামনাসামনি হতে পারছে না। তাই কলসেন্টারই ভরসা ওদের। নিচুতলায় পর্যাপ্ত সংগঠন না থাকার কারণেই বাধ্য হয়ে ওদের এখন এসব করতে হচ্ছে।’