নিওজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ও তমলুক : সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তমলুকের শিক্ষকদের অবস্থান-বিক্ষোভ মঞ্চে আবির মেখে মিষ্টি খাইয়ে আনন্দে মাতলেন শিক্ষকরা। হাইকোর্টের রায়ের পর তমলুকে অবস্থান বিক্ষোভ চলে দীর্ঘদিন। সুপ্রিম কোর্টের ২৬ হাজার শিক্ষকদের পুরো মামলা স্টে অর্ডার হয়ে যাওয়ার পর আনন্দে মিষ্টি মুখ করেন শিক্ষকরা এবং আবির খেলে(Holi Utsav) আনন্দে মাতেন।এদিকে,সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অনশন মঞ্চে এসএসসি(SSC) যোগ্য চাকরি হারাদের অনশনের মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের সংক্ষিপ্ত রায় শুনে তারা কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে পারছেন। তারা যে ৬ জন অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের শারীরিক অবস্থা ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। প্রত্যেকেরই বাড়িতে ছোট বাচ্চা আছে। মঙ্গলবার একজনের অবস্থা খুবই গুরুতর হওয়ায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার তারা আনুষ্ঠানিকভাবে সুপ্রিম কোর্টের এই সংক্ষিপ্ত রায়ের পর অনশন তুলে নিতে বাধ্য হলেন ।
ম্যাংগো জুস(Mango Juice) খেয়ে অনশন ভঙ্গ করলেন প্রত্যেকটা অনশনকারী ।এদের প্রত্যেকের হাতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে এই ম্যাংগো জুস তুলে দেওয়া হয়। আগামী ১৬ই জুলাই পরবর্তী সোনালী যে সময় তার জন্য আইনি বিষয়গুলো তার মনোনিবেশ করতে পারবেন ।সেই কারণেই মঙ্গলবার তাদের এই অনশন-ভঙ্গ বলে তারা জানান। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে,এখনই ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হচ্ছে না। মঙ্গলবার হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, সিবিআই(CBI) নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে। আগামী ১৬ জুলাই এই মামলার শুনানি হবে।এদিন সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, যোগ্য ও অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের যদি বিভাজন করা যায়, তাহলে ২০১৬ সালের পুরো এসএসসির প্যানেল বাতিল করা ন্যায্য হবে না। তবে সিবিআই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে ও তিন মাসের মধ্যে তাদের রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দিতে পারবে। একইসঙ্গে হাইকোর্ট যে চাকরিহারাদের ১২ শতাংশ হারে বেতন ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছিল তার ওপরও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট(Kolkata High Court), তার ওপরও স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনকে প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন করেন, কেন স্কুল সার্ভিস কমিশন ওএমআর শিটের)OMR Sheet) মিরর ইমেজ সংরক্ষণ করে রাখেনি। নাইসাকে বরাত দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন যথাযথভাবে টেন্ডার ডাকা হয়নি। তথ্য সংরক্ষণের দায়িত্ব সম্পূর্ণ এসএসসির। কিন্তু এসএসসি দায়িত্ববানের মতো কাজ করেনি। এদিন এসএসসির আইনজীবী আদালতকে জানায়, সিবিআইয়ের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে যোগ্য ও অযোগ্যের আলাদা তালিকা তৈরি করা সম্ভব। প্রধান বিচারপতি এদিন জানিয়েছেন, সিবিআই যদি নিজেই জানায় ৮ হাজার ৩২৪ জনকে বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে, তাহলে গোটা প্যানেল কেন বাতিলের কথা বলছেন। পুরো বিষয়টি নিয়ে আমরা বিবেচনা করব। তার আগে নিঃশর্ত স্থগিতাদেশ দিতে আমরা রাজি নই।