নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা, তাঁর স্বামী এবং বড় মেয়েকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হল শীতলকুচিতে। শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে। প্রেমের সম্পর্ক না মানার জন্য এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম নীলিমা বর্মণ, তাঁর স্বামী বিমলকুমার বর্মণ (৬৮) এবং তাঁদের বড় মেয়ে রুনা বর্মণ (২৪)। শীতলকুচির পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন তাঁরা। শুক্রবার ভোরে স্থানীয়রা পঞ্চায়েত সদস্যা নীলিমা বর্মণের বাড়ি থেকে চিৎকারের আওয়াজ পান। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তাঁরা। গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন নীলিমা, বিমলকুমার এবং তাঁদের বড় মেয়ে রুনা। তাঁদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গেলে তৎক্ষণাৎ নীলিমা ও তাঁর স্বামীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মাথাভাঙা হাসপাতাল থেকে রুনাকে স্থানান্তর করা হয় কোচবিহার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয় রুনার।
অন্যদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, নীলিমার ছোট মেয়ে ইতি বর্মণের সঙ্গে বিভূতিভূষণ রায় নামের এক যুবকের প্রেমঘটিত সম্পর্ক ছিল। তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে সেই সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় ‘প্রেমিক’ যুবক এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মা জানান, প্রধান অভিযুক্ত বিভূতিভূষণ রায় এবং তাঁর সঙ্গীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রেমঘটিত সম্পর্কের কারণেই এই ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।