নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের বিদেশী বিনোদন জগতে শোকের ছায়া। মাত্র ৪৮ বছরেই প্রয়াত হলেন, বিখ্যাত গায়ক এবং গীতিকার কোকো লি। হংকং-এ জন্মগ্রহণ কারী গায়িকার খবরটি নিশ্চিত করেছেন তাঁর ভাইবোন, ক্যারল এবং ন্যান্সি লি। তাঁদের কথায়, বেশ কয়েক বছর ধরে হতাশার সঙ্গে লড়াই করছিলেন কোকো লি। যার ফলে তাঁর অবস্থা সাম্প্রতিক মাসগুলিতে খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে অসংখ্য হিট গান। সফলতার শীর্ষে থাকা সত্ত্বেও অবসাদ তাঁকে হারিয়ে দিল। গতসপ্তাহে স্বনামধন্য গায়িকা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন নিজের বাড়িতেই। এরপর তাঁকে কোনওভাবে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপর এক সপ্তাহ ধরে মৃত্যু দানবদের বিরুদ্ধে লড়াই করার পর শেষ পর্যন্ত হার মানেন কোকো। মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন তিনি। কোকো লি জন্মগ্রহণ করেন, হংকংয়ের ফেরেন লিতে। পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন কোকো, সেখানে সান ফ্রান্সিসকোতে স্কুলে পড়াশোনা করেন। এরপর হংকংয়ের একটি টিভিতে আয়োজিত মর্যাদাপূর্ণ গানের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রথম রানারাপ হন তিনি।
এরপরই সঙ্গীত মহলে কর্মজীবন শুরু হয় গায়িকার। মাত্র ১৯ বছর বয়সে, তাঁর প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয়, সালটা ছিল ১৯৯৪। ব্রিটিশ মিউজিক মহলে প্রায় তিন দশক ধরে রাজত্ব করেছেন কোকো লি। বিশেষত কোকো তাঁর শক্তিশালী কণ্ঠস্বর এবং লাইভ পারফরম্যান্সের জন্য খ্যাত ছিলেন। আন্তর্জাতিক সঙ্গীতে কোকো লির অবদান ছিল যুগান্তকারী। তিনি অক্লান্তভাবে চীনা শিল্পীদের শীর্ষে পৌঁছনোর পথ প্রশস্ত করেছেন। তাঁদের বিশ্বব্যাপী দর্শকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। তাঁর ইংরেজি গান “ডু ইউ ওয়ান্ট মাই লাভ” বিলবোর্ডের হট ড্যান্স ব্রেকআউটস চার্টে ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে #4-এ এসেছিল।
উপরন্তু, তিনি ডিজনির “মুলান” এর ম্যান্ডারিন সংস্করণে তাঁর কণ্ঠ দিয়ে আরও সাফল্য অর্জন করেন। কোকো লি ২০১১ সালে, কানাডিয়ান ব্যবসায়ী তথা হংকংয়ের লি অ্যান্ড ফাং সাপ্লাই চেইন কোম্পানির প্রাক্তন সিইও ব্রুস রকোভিটজকে বিয়ে করেন। তাঁর কোনও সন্তান ছিল না, তবুও তিনি রকউইৎজের দুই কন্যার সৎ মা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কোকোর শেষ ইনস্টাগ্রাম পোস্টটি ছিল, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর। কোকো লির মৃত্যুতে সঙ্গীত শিল্প গভীরভাবে শোকাহত। সহশিল্পীরা, যেমন ম্যান্ডোপপ গায়ক-গীতিকার ওয়াং লিহোম এবং তাইওয়ানের গায়ক জোলিন সাই শোক প্রকাশ করেছেন।