নিজস্ব প্রতিনিধি: গোয়ায় খুবই সাবধানে পা ফেলতে হবে তৃণমূলকে। কারণ ওই দ্বীপরাজ্যে সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রয়েছে বিজেপির। তাই সরকার গড়ার জন্য যে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট বেঁধে নিতেও দ্বিধা বোধ করবে না বিজেপি সরকার। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানালেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে গোয়াতে সংগঠনের গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মহুয়াকে। আর সেই দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ওই দ্বীপরাজ্যে লাগাতার বৈঠক ও যোগদান পর্ব চালাচ্ছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে মহুয়া জানিয়েছেন, ‘গোয়ার সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিজেপির অলিখিত জোট রয়েছে। বিজেপিকে হারাতে চাইলে কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে কোনও লাভ নেই। কারণ এত বছর ধরে কংগ্রেস গোয়াতে কিছুই করেনি। কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম একদিন এই রাজ্যে এসে রাস্তায় হেঁটে বেরালেই কোনও লাভের লাভ হবে না। আমি প্রত্যেক দিনের জন্য এখানে আছি, কংগ্রেস নেতা এখানে একদিনের জন্য আসবেন, আবার চলে যাবেন।’
মহুয়া গোয়াতে বিজেপির উন্নয়ন না করার বিষয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি। তিনি বলেছেন, ‘গোয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিনষ্ট হচ্ছে, কলা অ্যাকাডেমি প্রকল্পের কাজও অসমাপ্ত, ওল্ড গোয়া প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে সুরক্ষিত এলাকাতে বেআইনি নির্মাণ গড়ে উঠেছে, এই নিয়ে কোনও দলেরই কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। কংগ্রেস প্রতিটি ইস্যু সম্পর্কেই অবগত, কিন্তু এই গুলি নিয়ে উপযুক্ত প্রশ্ন করতে কংগ্রেসকে কখনও শোনা যায়নি।’ শনিবারের সাংবাদিক সম্মেলনে মহুয়াকে প্রশ্ন করা হয় নাড্ডার করা অভিযোগ নিয়ে। সম্প্রতী বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা অভিযোগ করেছিলেন বঙ্গে তৃণমূলের জমানায় কোনও আইন শৃঙ্খলা নেই।
যার পাল্টা দিয়েছেন মহুয়া। তিনি বলেছেন, ‘কে জে পি নাড্ডা? তিনি কয়েকদনি আগে বাংলার নির্বাচনের সময়ও রাজ্যে গিয়ে একই অভিযোগ তুলেছিলেন, কিন্তু বাংলার মানুষ তাঁদের প্রত্যাখ্যান করেছে।’