নিজস্ব প্রতিনিধি: সুপ্রিম কোর্ট পরকিয়াকে( Extramarital Affair) ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। এমনকি ডিভোর্সের কারণ হিসাবে যে পরকিয়াকে আর তুলে ধরা যাবে না সেটাও জানিয়ে দিয়েছে। আর সেই পরকিয়ায় কার্যত ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে সারা দেশের সিংহভাগ দম্পত্তির জীবন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেই সব বিবাদ ডিভোর্সের দিকে এগোলেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খুনের ঘটনাও। কোথাও স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন হচ্ছেন, আবার কোথাও স্বামীর হাতে স্ত্রী। বৃহস্পতিবার সকালে সেই রকমই এক খুনের সাক্ষী থাকল খাস কলকাতা(Kolkata)। স্ত্রীকে(Wife) নিজে হাতে খুন(Murder) করে নিজেই পুলিশকে ডেকে পাঠালেন স্বামী(Husband)। পুলিশ এসে দেখল নিহতের পাশে থম মেরে বসে রয়েছেন ‘খুনি’। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার বেহালা(Behala) এলাকার রাজা রামমোহন রায় রোডের একটি বাড়িতে। পুলিশের সন্দেহ, দুই সন্তানের সামনেই স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন স্বামী।
জানা গিয়েছে, মৃতা মহিলার নাম সমাপ্তি দাস। তাঁর বয়স ২৮ বছর। তাঁর স্বামীর নাম কার্তিক দাস। বয়স ৪১। দু’জনের একটি ১২ বছরের মেয়ে এবং ৫ বছরের ছেলে আছে। গত এক বছর ধরে বেহালার রামমোহন রায় রোডের ওই বাড়িতে ভাড়া থাকছিলেন তাঁরা। এদিন সকালে ১০০ ডায়ালে ফোন করে পুলিশকে ডাকেন কার্তিক। যদিও পুলিশের ধারনা স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের ঘটনা কার্তিক ঘটিয়েছেন রাত্রেই। রাত ১টা নাগাদ সেই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই সমাপ্তির দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে কার্তিককে থানায় নিয়ে গিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। যদিও কার্তিকের ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরেই কার্তিক নিজেই জানিয়েছিলেন, তিনিই স্ত্রীকে খুন করেছেন। এখন পুলিশের একটাই জিজ্ঞাস্য, কেন খুনের ঘটনা ঘটল।
কার্তিক কার্যত ঠান্ডা মাথায় খুনের ঘটনা ঘটিয়েছেন এবং পুলিশকে ডাকার আগে ছেলেমেয়েকে অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছেন। আর তা দেখে পুলিশের ধারনা দীর্ঘদিনের ভাবনাচিন্তার ফসল এই ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুবের ঘটনার তদন্তে নেমে এলাকাবাসী ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। আর সেখানেই উঠে এসেছে পরকিয়ার তথ্য। এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে নাকি সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সমাপ্তি। সেই ঘটনা মেনে নিতে পারেননি কার্তিক। আর তার জেরেই এই খুনের ঘটনা। এখন সেই যুবকের সন্ধান পেতে চাইছে পুলিশ।