নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজনীতির দাপটে সৌন্দর্য চলে যাক, কোনও আপত্তি নেই। মানুষের কাছাকাছি পৌঁছতে সব সহ্য করা সম্ভব। হ্যাঁ, রাজনীতিতে ডেবিউ করেই তারকার তকমা ছেঁটে ফেলেছেন বাংলার দিদি নং ১-রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলার শাসকদলের হয়ে হুগলীতে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী রচনা বন্দোপাধ্যায়। তাঁর বিরোধী দলনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। দিদি নং ১-এর শুটিং শেষ করে জোরকদমে প্রচারে দিয়ে পেরিয়ে পড়ছেন রচনা বন্দোপাধ্যায়।
কখনও প্রচারে নেমে ঘুগনি খাচ্ছেন, আবার কখনও হুগলির মিষ্টি দইয়ের প্রশংসা করতে গিয়ে গরুর রচনা পাঠ করছেন। এতদিন ধোঁয়া দেখলেই নাকে, মুখে রুমাল চাপা দিতেন, কিন্তু লোকসভা ভোটের অবহে রাতারাতি সেই কালো ধোঁয়াতেই রিল বানাচ্ছেন রচনা বন্দোপাধ্যায়। আসলে গত ১৬ মার্চ সিঙ্গুরে প্রচার করতে বেরিয়েছিলেন রচনা। সেখানে তাঁকে হুগলির বন্ধ কারখানা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, উনি যখন থেকে প্রচারের জন্য এসেছেন হুগলিতে তখন থেকেই কারখানা দেখছেন। চিমনি থেকে শুধু ধোঁয়াই ধোঁয়া। ধোঁয়াতে ঢেকে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। তা হলে কারখানা হয়নি সেটা বলা ভুল। এই মন্তব্যের পরেই সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে যায় একাধিক মজার ‘মিম’-এ। অভিনেত্রীর ‘ধোঁয়া ধোঁয়া’ মন্তব্য ঘিরে তোলপাড়। এবার ঈদের দিন সকালে প্রচারে বেরিয়ে সেই ধোঁয়া ধোঁয়া এলাকাতেই বাসন্তী রঙের পোশাকে রিল বানালেন অভিনেত্রী।
আর পেছনে দেখা গেল কারখানার চিমনি থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। হলদে ফ্রেমের বাহারি চশমা পরে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের হুগলির ধোঁয়া। যে ধোঁয়া আমি সব সময় যাতায়াতের সময় দেখি। এটা কিন্তু সিগারেট-বিড়ির ধোঁয়া নয়, এটা হল মেশিনের ধোঁয়া!’’ অর্থাৎ অভিনেত্রী যে তাঁর এই রিলের মাধ্যমেই বিরোধীদের মিমের উচিত জবাব দিলেন তা বলাই বাহুল্য! এদিকে হুগলিতে ট্রেনে বাজারে গিয়ে জনসংযোগ সারছেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিকে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর বলছেন, রাজ্যে শিল্প আছে। কিন্তু বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের জন্য আরও শিল্প দরকার। তাতেই বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফুটে উঠবে।