নিজস্ব প্রতিনিধি: সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের এপ্রিল-মে মাস নাগাদ বাংলায় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন(Panchayat Election) হওয়ার কথা। কিন্তু কিছুদিন আগেই ঝাড়গ্রাম জেলায় দলের এক কর্মীসভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ইঙ্গিত দিয়েছেন চলতি বছরে বর্ষার শেষ হলেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেওয়া হবে। যেহেতু রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত ও পুরসভা নির্বাচন ৬ মাস এগিয়ে আনতে বা পিছিয়ে দিতে পারে, তাই মনে করা হচ্ছে, চলতি বছরে উৎসব মরশুম শেষ হলেই নভেম্বর মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা ঘোষণা করে দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে ডিসেম্বর মাসে ভোট হতে পারে বাংলার গ্রামপঞ্চায়েতগুলিতে। ঠিক এই রকম অবস্থায় রাজ্যের শাসক দল হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) সমীক্ষা শুরু করেছে দলের ব্লক সভাপতি(Block Presidents) কাদের করা হতে পারে তা নিয়ে। যদিও সূত্রে জানা গিয়েছে এই সমীক্ষাতে এটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরেই প্রার্থী কারা কারা হতে পারেন, সেই বিষয়টিও।
গত ৫ মে নতুন তৃণমূল ভবনে রাজ্য কমিটির বৈঠক করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন, ২০ মে-র পর দলের সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাস হবে ব্লক স্তরে। নতুন করে ব্লক সভাপতি নিয়োগ করবে দল। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ব্লক সভাপতি পদে কাকে কাকে নিয়োগ করা হবে সেটাই এখন সমীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। আর সেই সমীক্ষা করাচ্ছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। সমীক্ষার কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। সমীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেলেই ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা করতে পারে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের ব্লক সভাপতি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে এটাও জানা গিয়েছে, সমীক্ষায় দেখা হবে কোন কোন গ্রাম পঞ্চায়েতের কোন কোন আসনে দলের সব থেকে ভাল প্রার্থী কে কে বা কারা কারা হতে পারেন। পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদের আসনের ক্ষেত্রেও সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
একই সঙ্গে দলের ব্লক সভাপতি পদে কারা কারা নিয়োগ পেতে পারেন সেই বিষয়ে দলীয় বিধায়কদের কাছ থেকেও সম্ভাব্য ব্লক সভাপতিদের নাম চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, সেই নির্দেশ মেনে ব্লক সভাপতিদের নাম সুপারিশ করে অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়করা। বিধায়কদের পাঠানো সেই নামের তালিকা সমীক্ষায় উঠে আসা নামের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। ব্লক স্তরের যে নেতার ‘প্রভাব’ ও ‘কর্ম তৎপরতা’ বেশি থাকবে, নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁকেই প্রাধান্য দেবে দল। মে মাসের শেষ সপ্তাহে জঙ্গলমহলের দুই জেলা বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্ভবত সেই সফর শেষ করে তিনি কলকাতায় ফিরলেই দলের ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।