এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

১৮ থেকে শেষে কিনা ২, খোদ সঙ্ঘের রিপোর্টে বিপর্যয়ের ইঙ্গিত

নিজস্ব প্রতিনিধি: এ কি হল, কেন হল, কী যে হল জানি না! হ্যাঁ এই গানটাই আপনারা শুনতে পারেন বাংলার বিজেপি(Bengal BJP) নেতাদের মুখে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে পরেই। কেননা খোদ সঙ্ঘের সমীক্ষায়(Survey Report) চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ২০১৯ সালে বাংলার বুক থেকে বিজেপি যে ১৮টি আসন পেয়েছিল, তার মধ্যে এখন বলতে গেলে আর কোনও আসনই নিরাপদ নয়। কেবলমাত্র দার্জিলিং(Darjeeling) ও বনগাঁ(Bongna) এই দুটি লোকসভা আসনে বিজেপির জয় হতে পারে বলে মনে করছে সঙ্ঘ(RSS)। আর সেই রিপোর্টের জেরেই এখন মুখ পুড়ছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের।

আরএসএসের তরফ থেকে সমীক্ষা শুরু হয়েছিল সারা দেশ জুড়েই। ২০২৪ সালে কোন কোন রাজ্য থেকে বিজেপি ও তার বন্ধু দলগুলি কে কত আসন জিততে পারে তা নিয়ে। আর সেই সমীক্ষাতেই ধরা পড়েছে বাংলায় ক্ষয়রোগে আক্রান্ত হয়েছে গেরুয়া শিবির। দ্রুত কমেছে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা, জনপ্রিয়তা, বিশ্বাসযোগ্যতা। বাংলার মানুষ চূড়ান্ত ভাবে মুখ ঘুরিয়েছেন এই দলটির থেকে। যে ২ দিয়ে বাংলার বুকে বিজেপির যাত্রা শুরু হয়েছিল মোদি জমানায় ২০১৪ সালে, সেই ২ দিয়েই বাংলার বুকে ২০২৪ সালে বিজেপির চ্যাপ্টার ক্লোজড হতে চলেছে বলে এখন সঙ্ঘের মাথারাই কার্যত মেনে নিয়েছেন। যদিও সেই ২টি আসনও আসবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সঙ্ঘের রিপোর্টে জানানো হয়েছে গোর্খা ও মতুয়ারা বিজেপির পাশে থাকবে ও সেই সূত্রেই ওই দুটি আসন আসবে। কিন্তু পৃথক রাজ্য ও নাগরিকত্বের দাবিতে গোর্খা ও মতুয়াদের মধ্যে বিজেপি বিরোধী ক্ষোভ যে ভাবে তীব্র হচ্ছে তাতে করে ওই ২টি আসনও আসবে কিনা সন্দেহ।

কিন্তু কেন এই বিপর্যয়? সঙ্ঘের রিপোর্টে উঠে এসেছে বাংলার বুকে বিজেপি সব থেকে বড় ভুল করেছে দলবদলু নেতাদের গুরুত্ব দিয়ে। বিশেষ করে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দলের পুরাতন মুখদের প্রার্থী না করে যেভাবে দলবদলু নেতাদের তুলে ধরা হয়েছিল তা ছিল মারাত্মক ভুল। কেননা দেখা যাচ্ছে সেই সব দলবদলু নেতারা বিজেপিতে এসে হয় মানিয়ে নিতে পারছেন না, নতুবা ফের আগের দলেই ফিরে যাচ্ছেন। আর যারা রয়ে গিয়েছেন হয় তাঁরা দলকে আর সেভাবে পাত্তা দিচ্ছেন না, নতুবা তলে তলে আগের দলে সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন যাতে ফের সময় সুযোগ মতো ফিরে যাওয়া যায়। আর এই দলবদলুদের বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ায় দলের পুরাতন বহু নেতা থেকে কর্মী সবাই বসে গিয়েছেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের হার সেই বসে যাওয়া কর্মীদের মনোবল আরও ভেঙে দিয়েছে। সঙ্ঘের রিপোর্টে আরও উঠে এসেছে বাংলার ইতিহাস, ভূগোল, সভ্যতা-সংস্কৃতি না জেনে যেভাবে আক্রমণ শানানো হয়েছে তাতে দলের লাভ অপেক্ষা ক্ষতি বিস্তর হয়েছে। মানুষের কাছে বিজেপি বহিরাগত দল হিসাবেই থেকে গিয়েছে। গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়েছে রাজ্য ভাগের দাবি যা বাংলার মানুষ ভাল ভাবে মেনে নিচ্ছে না।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, ‘SET’ গঠন লালবাজারের

ডায়মন্ড হারবার ও আনন্দপুর থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

তিলজলায় প্রচন্ড গরমে পুকুরে স্নান করতে নেমে ৩ কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু

শনিবার থেকে উত্তরবঙ্গে এবং রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড় – বৃষ্টি শুরু হবে

সুবীরেশ-কল্যাণময়কে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল, তথ্য পেশ তাঁদের আইনজীবীর

চাকরি বাতিলের জেরে একাধিক  স্কুলে বন্ধের মুখে বিজ্ঞান বিভাগ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর