এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বিজেপি অফিসে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি পাবেন অগ্নিবীররা, বিস্ফোরক বিজয়বর্গীয়

নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গ বিজেপিতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় পর্যন্ত দলের পর্যেবেক্ষক ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়(Kailash Bijaybargiya)। সেই সময়েই তিনি মন্তব্য করেছিলেন, তাঁর বাড়িতে রাজমিস্ত্রীর কাজে আসা মজুররা চিঁড়ে খেত। তাতেই নাকি প্রমাণিত হয়ে গিয়েছিল ওরা বাংলাদেশী। চিঁড়ে খাওয়ার অর্থ সে বাংলাদেশী এই তত্ত্ব কৈলাস কোথা থেকে আর কীভাবে আমদানি করলেন তা নিয়েই বিস্তর গবেষণার প্রয়োজন। কৈলাসের ওই মন্তব্যের মাশুল গুণতে হয়েছে বিজেপিকে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে গোহারান হেরেছে বিজেপি(BJP)। সেই কৈলাসই আবারও বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন। আর তাও কিনা অগ্নিবীরদের(Agniveer) নিয়ে। কার্যত তাঁর মন্তব্য দেখিয়ে দিল দেশের সেনাবাহিনীকে(Indian Army) বিজেপি কীভাবে নিজেদের তাঁবেদার বাহিনীতে পরিণত করতে চাইছে এবং দেশের সেনা জওয়ারদের তাঁরা ঠিক কোন চোখে দেখেন।

কী বলেছেন কৈলাস? রবিবার মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে এক সাংবাদিক বৈঠকে কৈলাস জানিয়েছেন, ‘সেনার প্রশিক্ষণ পেয়ে অগ্নিবীররা হয়ে উঠবেন কঠোর শৃঙ্খলাপরায়ণ৷ তাঁরা সব আদেশ পালন করতে শিখবেন৷ চার বছর দেশ সেবা করার পর যদি তাকে বাহিনী ছাড়তে হয় তখন তিনি এককালীন ১১ লাখ টাকা পাবেন৷ এছাড়া অগ্নিবীরের তকমা নিয়ে সমাজে ঘুরে বেড়াবে৷ আমার যদি বিজেপি অফিসে নিরাপত্তা রক্ষীর প্রয়োজন পড়ে তাহলে আমি অগ্নিবীরদের অগ্রাধিকার দেব৷’ অর্থাৎ, বিজেপি অফিসে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি পাবেন অগ্নিবীররা৷ কৈলাসের এই মন্তব্য নিয়েই এখন নতুন করে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও তাতে বিজেপির হুঁশ তাতে ফিরবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। একদিকে যখন দেশের যুব সম্প্রদায় ‘অগ্নিপথ’(Agnipath) প্রকল্পের বিরোধীতা করে আন্দোলন চালাচ্ছে তখন কৈলাসের এই মন্তব্যে নতুন করে দেশে আগুন জ্বালানোর পক্ষে যথেষ্টই বলে মনে করছেন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীরা।

এ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, বিজয়বর্গীয়র কথাতে একটা জিনিস স্পষ্ট যে, ভবিষ্যৎ ভারতে সিকিউরিটি গার্ডের বিকল্প হিসেবে অগ্নিবীর নিয়োগের পথে হাঁটছে কেন্দ্র৷ স্থায়ী চাকরির টোপ দিয়ে নরেন্দ্র মোদি দিল্লির তখতে বসেছিলেন৷ কিন্তু তাতে ব্যর্থ হওয়ায় এখন দেশের যুব সমাজের সামনে অস্থায়ী ঠিকা শ্রমিকের মতো কাজের টোপ ফেলছে বিজেপি৷ বিজয়বর্গীয়র এই মন্তব্য যুবসমাজের প্রতি চরমতম অপমান। একই সঙ্গে এটাও পরিষ্কার হয়ে গেল দেশের সেনাবাহিনীকে কীভাবে নিজেদের তাঁবেদার বাহিনীতে পরিণত করতে চাইছে বিজেপি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে এ রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল বুথে বুথে ভোটারদের হুমকি ধমকি চমকানি দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলের প্রতি সমর্থন দিতে। এমনকি সংখ্যালঘু ভোটারদের বুথে গিয়ে ভোটদান করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে। শীতলকুচির বুথে নিরীহ ভোটারদের বিনা কারণে গুলি করে মারার অভিযোগও উঠেছিল এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় বাহিনী সামরিক বাহিনী নয়, তবে অবশ্যই আধা সামরিক বাহিনী। একুশের নির্বাচনেই প্রমাণিত হয়েছিল সেই আধাসামরিক বাহিনীকে বিজেপি কীভাবে তাঁদের নিজেদের তাঁবেদার বাহিনীতে পরিণত করেছে। এবার তাঁদের নজর দেশরক্ষার দায়িত্বে থাকা মূল সেনাবাহিনীর দিকে। বিজয়বর্গীয় মন্তব্যই কার্যত বুঝিয়ে দিচ্ছে এবার দেশের সেনাবাহিনীকেও নিজেদের তাঁদেদার বাহিনী বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি তথা মোদি বাহিনী।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, ‘SET’ গঠন লালবাজারের

ডায়মন্ড হারবার ও আনন্দপুর থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

তিলজলায় প্রচন্ড গরমে পুকুরে স্নান করতে নেমে ৩ কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু

শনিবার থেকে উত্তরবঙ্গে এবং রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড় – বৃষ্টি শুরু হবে

সুবীরেশ-কল্যাণময়কে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল, তথ্য পেশ তাঁদের আইনজীবীর

চাকরি বাতিলের জেরে একাধিক  স্কুলে বন্ধের মুখে বিজ্ঞান বিভাগ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর