এই মুহূর্তে




হাসিনা দেশ ছেড়েছেন, কিন্তু বাংলাদেশকে গড়ে দিয়ে গিয়েছেন

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশ(Bangladesh) ছেড়ে ৪৮ ঘন্টা আগেই সে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে চলে এসেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের(Bangabandhu Sheikh Mujibar Rahaman) কন্যা শেখ হাসিনা(Sheikh Hasina)। সম্ভবত চিরতরেই দেশ ছাড়তে হল তাঁকে। অনেকেই মনে করছেন আগামী দিনে তিনি আর বাংলাদেশে ফিরতে চাইবেন না বা পারবেন না। হাসিনা তাই আজ অতীত বাংলাদেশের বুকে। সে দেশের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রাস্তাঘাটজুড়ে চলছে হাসিনাকে চূড়ান্ত অশ্লীল আক্রমণ, যা কোনও শিক্ষিত সভ্যের নমুনা হতে পারে না। তা নিয়ে নিন্দাও চলছে ভারতে। যদিও বাংলাদেশের কেউই এখন হাসিনার স্বপক্ষে দাঁড়াননি প্রকাশ্যে বা সোশ্যাল মিডিয়াতে। কেননা তাঁদেরও প্রাণের ভয় রয়েছে। হাসিনাকে আশ্রয় দিতে চাইছে না ইংল্যান্ড ও আমেরিকাও। তাই হাসিনার ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। শেষ পর্যন্ত হয়তো তাঁকে ভারতেই থেকে যেতে হতে পারে। হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে চলে এলেও কিন্তু সে দেশকে গড়ে দিয়ে এসেছেন, যা অস্বীকার করতে পারছে না বিদেশের কোনও দেশই।

আরও পড়ুন সহবাসে বিদ্ধ সুশান্ত, নির্যাতিতা সিপিআই(এম)’রই সদস্য, চান মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ

মুজিবকন্যা দুই দফায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছেন। প্রথম দফায় মাত্র ৫ বছরের জন্য। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল। দ্বিতীয় দফায় ২০০৯ থেকে ২০২৪। প্রথম দফায় মাত্র ৫ বছরের মধ্যেই তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেন ও সিদ্ধান্ত নেন যা বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে মাইলফলক হয়ে ওঠে। হাসিনার এই প্রথম দফার রাজত্বপাটেই ভারতের সঙ্গে গঙ্গার জলবন্টন চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল। শুরু হয়েছিল মুজিব হত্যায় যারা জড়িত ও অভিযুক্ত তাঁদের বিচার করার পালা। টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে সেই সময়েই তিনি দেশের বাজারকে উন্মুক্ত করে দেন বেসরকারি বিনিয়োগ ও ব্যবসার জন্য। চট্টগ্রামে শান্তি স্থাপন করে সেই সময়েই হাসিনা পেয়েছিলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তি সম্মাণ। দেশের লক্ষ লক্ষ ভূমিহীন-ঘরহীন মানুষকে জমি সহ পাকা ঘর তৈরি করে দেওয়ার জন্য আশ্রয়-১ প্রকল্প শুরু করেন তিনি সেই সময়েই। কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়নে তিনি চালু করেন, ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প। দেশের ৪ লক্ষ বয়স্ক মানুষকে আনা হয় বার্ধক্য ভাতার আওতায়। চালু হয় বিধবা ভাতা এবং স্বামী পরিত্যক্তা মহিলাদেরও ভাতা প্রদানের কর্মসূচী। জাতীয় সংসদে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার রীতিও তিনি চালু করেন। তাঁর এই প্রথম দফার রাজত্বকালেই বাংলাদেশে চার স্তরের স্থানীয় স্বায়ত্বশাসন ব্যবস্থা চালু হয়।

আরও পড়ুন রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদলে সই রাজ্যপালের, ফাইল পৌঁছে গিয়েছে নবান্নে

কিন্তু এইসব সত্ত্বেও তাঁকে ক্ষমতা হারাতে হয় ২০০১ সালের নির্বাচনে। সেই সময় কিন্তু হাসিনাকে দেশ ছাড়তে হয়নি। বরঞ্চ তিনি বিরোধী দলনেত্রীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ২০০৯ সালে তিনি ফের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি ফিরে পান। আর তারপর টানা ১৫ বছর তিনি থেকেছেন এই পদেই। আর এই ১৫ বছরেই বাংলাদেশের উন্নতি চোখ ধাঁধিয়েছে গোটা বিশ্বের। দেশের ২৫% মানুষকে দারিদ্র্য সীমার নীচ থেকে বের করে আনার পাশাপাশি ১৪ লক্ষ ভূমিহীন-ঘরহীন মানুষকে জমি সহ পাকা ঘর তৈরি করে দিয়েছে তাঁর সরকার। বিদেশী রাষ্ট্র নির্ভরতা কাটিয়ে তাঁর সরকার দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলে। বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করার শ্রেয় হাসিনা সরকারেরই। ৬০ বিলিয়ন জিডিপির দেশকে ৪৬০ বিলিয়ন ডলারের জিডিপির দেশে উন্নীত করার শ্রেয় মুজিবকন্যারই। এর পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে ছিটমহল সমস্যার সমাধান করা, দেশের সমূদ্রসীমা বাড়ানো, রাজাকারের বিচার করা, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা, ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎকে ১৬ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা, ৬০০ ডলার মাথাপিছু আয়কে ২৮০০ ডলারে উন্নীত করা, প্রতি বছর বিনামূল্যে ৩৫ কোটি বই বিতরণের কৃতিত্ব হাসিনার সরকারেরই।

আরও পড়ুন এক শহর মূর্তি ভাঙে মুজিবের, আরেক শহর বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি আগলে রাখে

একই সঙ্গে পদ্মা সেতু বানানো, বঙ্গবন্ধু টানেল করা, ঢাকায় মেট্রোরেল প্রকল্প গড়ে তোলা, দেশের বুকে একাধিক এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করা, বড় বড় সেতু গড়ে দেশের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত অবধি মসৃণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, শত শত কিলোমিটার নতুন রেলপথ তৈরি করা, শত শত কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করা, ঢাকা শহরে ব্রডগেজ রেল পৌঁছানোর ব্যাবস্থা করা, ২০০ লোকোমোটিভ কেনা, ৬০০ অত্যাধুনিক নতুন রেল কোচ কেনা, দেশে একাধিক নতুন নতুন সমূদ্র বন্দর তৈরি করা হাসিনা সরকারের বড় কৃতিত্ব হিসাবে থেকে গিয়েছে। হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়। একাধিক মেডিকেল কলেজ। দেশের গণমাধ্যমে বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্র মায় পোর্টাল চালুর জন্য দরজা খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশাল বড় ভূমিকা নেয় শেখ হাসিনার সরকার। সব থেকে বড় কথা, দেশের মানুষকে ডিজিটাল সুযোগ সুবিধার এক্সেস তৈরি করে দেওয়ার রাস্তা করে দেন তিনি। যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন, বাংলাদেশ তখন ছিল, বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। আর যখন তিনি বাংলাদেশ ছাড়লেন তখন সে দেশ বিশ্বের উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের উন্নতি চোখ ধাঁধিয়েছে গোটা বিশ্বের। জাতির পিতার কন্যা দেশকে গড়ে দিয়ে গিয়েছেন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

একই বৃন্তে দুইটি কুসুম, বৃষ্টি থেকে বাঁচাতে নামাজ পড়া মুসলিমের মাথায় ছাতা ধরল হিন্দু পুলিশ কর্মী

পুলিশকে দেখে খালে ঝাঁপ, ৩ ঘন্টার চেষ্টায় কচুরিপানার ভেতর থেকে আটক ধর্ষণের আসামি

বাংলাদেশ :৫০ হাজার বেশি ধান দিয়ে গড়া হল দু্র্গা প্রতিমা

‘মিস বাংলাদেশ’ খেতাব জিতলেন ইচ্ছা

কবর থেকে উঠে এসে হামলা! বাংলাদেশে মৃত আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে মামলা

প্রেমের টানে কয়েক হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে কুমিল্লায় হাজির ইন্দোনেশিয়ার তরুণী

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর