নিজস্ব প্রতিনিধি, বলাগড়: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসি নিয়ে ফের সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বলাগড়ে দলীয় প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে গিয়ে বিজেপিকে এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, ‘ফের বিজেপি ক্ষমতায় এলে সবাইকে দেশ থেকে তাড়াবে। তাই তড়িঘড়ি সিএএ চালু করা হয়েছে। কিন্তু আমি আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, জীবন থাকতে আপনাদের ফের ভিটেমাটি ছাড়া হতে দেব না। এনআরসি ও সিএএ মানছি না। মানব না। একজনকেও তাড়াতে দেব না। মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে দেব না।’
লোকসভা ভোটে ‘মোদির গ্যারান্টি’ বলে বিশেষ প্রচারাভিযান শুরু করেছে বিজেপি। এদিন সেই অভিযানকে কটাক্ষ করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘গ্যাস আর বিনামূল্যে রেশন দেওয়া নিয়ে লাগাতার মিথ্যা কথা বলে চলেছে। কিছু লোককে দিয়ে বলানো হচ্ছে বিনামূল্যে গ্যাস পেয়েছি। অথচ সাধারণ মানুষকে আজ হাজার টাকায় গ্যাস কিনতে হচ্ছে। রাজ্য সরকারের তরফে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছে। অথচ প্রচার চলছে বিজেপি সরকার বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে। শুধু মিথ্যা কথা বলে ভোটে জেতার চেষ্টা চালাচ্ছে। রাজ্যের ৯ কোটি মানুষকে আমরা রেশন দিই। কোভিডের পর থেকে গত দু’বছরে রেশন দেওয়ার জন্য আমরা মোট ১৮ হাজার কোটি টাকার চাল কিনেছি। সেই সঙ্গে আরও ১২ হাজার কোটি টাকা আমরাই দিয়েছি। মোদি এক পয়সা দেননি। উনি মিথ্যা কথা বলছেন।’’বাংলার ১০০ দিনের কাজের বকেয়া প্রাপ্য আটকে রেখেছে। এমনকি আবাস যোজনার টাকাও দিচ্ছে না।’ এদিন ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল নিয়েও বিজেপিকে নিশানা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, ‘মানুষ খেকো বাঘের কথা শুনেছেন। আজকের বিজেপি হল। চাকরিখেকো। আবার নাটক করে বলা হচ্ছে, চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়াব।’
রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পরে হুগলি জেলার উন্নয়নে কী-কী প্রকল্প নেওয়া হয়েছে তার ফিরিস্তিও তুলে ধরেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই সঙ্গে সন্দেশখালি কাণ্ডে প্রকাশিত স্টিং ভিডিয়ো নিয়েও বিজেপিকে নিশানা করেন মমতা। সুর সপ্তমে চড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘সন্দেশখালিতে কেমন টাকার খেলা হয়েছে, দেখলেন তো সকলে! মা-বোনেদের সম্মান নষ্ট হলে টাকার বিনিময়ে কি তা আর ফেরানো যায়? আমি বার বার বলেছি, আমি থাকতে মা-বোনের সম্মান নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। অতন্দ্রপ্রহরীর মতো পাশে থাকব।’