এই মুহূর্তে




ঘরে উপচে পড়বে ধন-সম্পদ, জেনে নিন দীপাবলিতে লক্ষীপুজোর সময়কাল এবং নিয়ম




নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ ৩১ অক্টোবর, শুভ দীপাবলি। অন্ধকার ঘুচিয়ে আলোর উৎসবে মেতে উঠবে গোটা দেশ। তবে বাঙালিদের কাছে দীপাবলি মানে কালী পুজো। প্রতি বছর কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে দীপাবলির উৎসব দেশব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালিত হয়। আবার অনেকেই এদিনে লক্ষী পুজোও করে থাকেন। তবে এদিন লক্ষী পুজোর আচারে পালন করতে হয় একাধিক রীতি-নীতি। বিশ্বাস করা হয় যে, দেবী লক্ষ্মী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করেন। তাই তিনি শুধুমাত্র পরিষ্কার জায়গায় বসবাস করতে ভালবাসেন। দেবী লক্ষীকে অপরিষ্কার জায়গায় রাখলে তিনি রুষ্ট হতে পারেন। তাই দীপাবলিতে লক্ষ্মী পুজোর একটি বিশেষ আচার রয়েছে। এ দিনে, দেবী লক্ষ্মী, বাধা বিঘ্নকারী ভগবান গণেশ এবং মা সরস্বতীকে সন্ধ্যা ও রাতে শুভ সময় অনুযায়ী পুজো করা হয়। পুরাণ মতে, কার্তিক অমাবস্যার অন্ধকার রাতে, মহালক্ষ্মী স্বয়ং পৃথিবীতে নেমে আসেন এবং প্রতিটি বাড়িতে যান। তাই এ সময়ে, যে বাড়ি সর্বত্র পরিষ্কার এবং উজ্জ্বলময়, সেই বাড়িতেই আংশিক রূপে বাস করেন দেবী লক্ষী, তাই দীপাবলিতে, আচার অনুসারে দেবী মহালক্ষ্মীর আরাধনা করলে তাঁর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক, দীপাবলিতে লক্ষী পুজোর শুভ সময় ও পদ্ধতি। 

লক্ষী পুজোর সময় 

মুলত, দীপাবলির অমাবস্যা তিথি আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩:৫২ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে এবং শেষ হবে ১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬:১৬ মিনিটে। এ বছর দীপাবলিতে দু সময়ক্ষণে লক্ষী পুজো দিতে পারেন। প্রথমবার লক্ষী পুজোর প্রদোষ কাল আজ সন্ধ্যা ৫:৩৬ মিনিট থেকে ৮:১১ পর্যন্ত, আর বৃষভ লগ্ন (স্থির আরোহণ) শুরু হচ্ছে সন্ধ্যা ৬:২৫ থেকে ৮:১৫ পর্যন্ত। দ্বিতীয়বার লক্ষ্মী পূজার সময় শুরু হচ্ছে আজ রাত ১১:৩৯ মিনিট থেকে এবং স্থায়ী হবে ১২:৩০ পর্যন্ত। 

দীপাবলি পুজোর বিধান

সকালে স্নান সেরে সমস্ত দেব-দেবীর পূজা করুন। সন্ধ্যায় লক্ষ্মী পূজার সময় প্রথমে শুদ্ধিকরণ করুন। প্রথমত, নিজের উপর জল ছিটিয়ে নিজেকে পবিত্র করুন। এর পর সব উপকরণে জল ছিটিয়ে হাতের তালুতে জল নিয়ে তিনবার পান করুন এবং চতুর্থবার হাত ধুয়ে নিন। এরপর একটি স্বস্তিক প্রতীক তৈরি করুন, এরপর লাল কাপড় বিছিয়ে দিন। আর সেখানে ভগবান গণেশ, মা লক্ষ্মী, ভগবান কুবের এবং মা সরস্বতীর নতুন মূর্তি স্থাপন করুন। এর পর প্রদীপ জ্বালান। এরপর, ভগবান গণেশের ধ্যান করুন। এর পরে মা লক্ষ্মী, ভগবান কুবের এবং মা সরস্বতীকে স্মরণ করুন। এর পর কলাশের ধ্যান করুন। এবার প্রতিমার সামনে জলভর্তি একটি কলসি রাখুন। এতে ফল, ফুল, মিষ্টি, দূর্বা, চন্দন, ঘি, শুকনো ফল, খিল, বাতাসা, চৌকি, কলশ, ফুলের মালা ইত্যাদি ব্যবহার করুন। এরপর পূর্ণ আচারের সঙ্গে লক্ষ্মী ও গণেশের পুজো করুন। পাশাপাশি দেবী সরস্বতী, ভগবান বিষ্ণু, মা কালী এবং কুবেরেরও যথাযথ পূজা করুন। পুজোর সময় ১১ টি ছোট প্রদীপ এবং একটি বড় প্রদীপ জ্বালান। তবেই নিষ্ঠাভরে পুজো করতে পারবেন। 

লক্ষ্মী পুজোর সমগ্রী 

দীপাবলিতে লক্ষী পুজোর জন্য রোলি, চাল, সুপারি, লবঙ্গ, এলাচ, ধূপ, কর্পূর, ঘি বা তেলে ভরা প্রদীপ, কলভ, নারকেল, গঙ্গাজল, ফল, ফুল, মিষ্টি, দূর্বা, চন্দন, ঘি, শুকনো ফল, খিল, বাতাস, চৌকি, কলসি, ফুলের মালা, শঙ্খ, লক্ষ্মী-গণেশ, মা সরস্বতী ও ভগবান কুবেরের মূর্তি, থালা, রৌপ্য মুদ্রা, ১১টি প্রদীপ, মা লক্ষ্মীর পোশাক, মা লক্ষ্মীর মেকআপ সামগ্রী রাখতে হবে। 

এরপর জেনে নেওয়া যাক, এমন নিষ্ঠা ভরে পুজো করলে কী কী উপকার হবে… 

দীপাবলির রাতে একটি ভোজপত্র বা হলুদ কাগজ নিন। তবে এই ভোজপত্র বা কাগজের টুকরো টি চৌকো হতে হবে। একটি নতুন লাল কলম দিয়ে এটিতে একটি মন্ত্র লিখুন। মন্ত্রটি হবে “ওম শ্রীম হ্রীম ক্লীম ত্রিভুবন মহালক্ষ্ম্য অসমাঙ্ক দারিদ্র্য নাশয় প্রাচুর ধন দেহি দেহি ক্লীম হ্রীম শ্রীম ওম”। এটি দেবী লক্ষ্মীকে নিবেদন করুন। এরপর এগারোবার এই মন্ত্রটি জপ করুন। মন্ত্র জপের পর এই ভোজপত্র বা কাগজ আপনার সম্পদের জায়গায় রাখুন। আপনি চাইলে আপনার পার্সেও রাখতে পারেন। আর টাকা ফেরত পেতে পারেন, প্রথমে কমলা রঙের হনুমানজির মূর্তি আনুন। তাদের সামনে একমুখী জুঁই বাতি জ্বালান। এর পরে, ছিদ্র সহ একটি তামার মুদ্রা নিন। এবার- “ওম নমো হনুমতে ভয়ভঞ্জনায়া সুখম কুরু ফট স্বহা।” মন্ত্রটি ১১ বার জপ করুন। তাহলে আর্থিক লাভ এবং ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মঙ্গলবার ঘুম থেকে উঠে সবার আগে এই কাজ করলে তুষ্ট হবেন সংকটমোচন

আপনার বাড়িতে বাস্তু দোষ আছে কিনা নিজেই পরীক্ষা করুন

লো প্রেশারে ভুগছেন? এই খাবার গুলো তালিকায় রাখছেন তো ?

মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর আগে এই কাজ গুলো অবশ্যই করছেন তো ?

এই কারণে শিবের আর এক নাম শম্ভু…

প্রতি সোমবারে মহাদেবকে এই জিনিসগুলো নিবেদন করেন তো ?

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর