নিজস্ব প্রতিনিধি: আলোর উৎসব দিওয়ালি। দীপাবলি (DEEPABALI) আর দিওয়ালি (DIWALI) একই। শুধু বাঙালি আর অবাঙালি ক্ষেত্রে নামের পরিবর্তন। এই উৎসব আলোর। একে দীপান্বিতাও বলা হয়। এই বছর দীপাবলির দিন পড়েছে ২৪ অক্টোবর।
‘দীপাবলি’ বা ‘দিওয়ালি’ উদযাপিত হয় পাঁচদিন ধরে। ধনতেরাস থেকে এই উৎসবের সূচনা। আর সমাপ্তি হয় ভাইফোঁটা দিয়ে। প্রথম দিনে বিশেষ বিশেষ সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ীদের অর্থবর্ষের সূচনা হয়। মূলত অবাঙালিরা পালন করে এই উৎসব। দ্বিতীয় দিনে পালন করা হয় ভূত চতুর্দশী। তৃতীয় দিনে পালিত হয় কালীপুজো এবং লক্ষ্মীপুজো। বাঙালিরা দীপান্বিতা কালী আরাধনা করেন। অবাঙালিরা করেন লক্ষ্মীপুজো। উল্লেখ্য, এই লক্ষ্মীপুজো কিন্তু কোজাগরী নয়। এখানে দেবী লক্ষ্মী চারহাতের। কোজাগরী লক্ষ্মী দু’হাতের। এই তৃতীয় দিনটিকে দীপাবলি বা দিওয়ালি বলা হয়। চতুর্থ দিনে হয় গোবর্ধন পুজো। আর পঞ্চম দিনে ভাইফোঁটা। প্রসঙ্গত, দিওয়ালি, কালীপুজোর এক দিন বা পরে পড়তেই পারে। বাঙালিরা কালীপুজোর দিনেই দীপাবলি উদযাপন করেন।
রামায়ণ অনুযায়ী, রাবণ বধ করে এবং বনবাস পর্ব শেষে এই দিনে রামচন্দ্র তাঁর স্ত্রী সীতা এবং ভাই লক্ষ্মণকে নিয়ে অযোধ্যায় ফিরেছিলেন। দশমীতে দশাননকে বধ করেছিলেন রাম। তারপরে অযোধ্যায় ফিরতে তাঁদের সময় লেগেছিল ২০ দিন। তাঁরা ফিরছেন বলে আলোয় সাজানো হয়েছিল অযোধ্যাকে।
আবার মহাভারত অনুযায়ী, নরকাসুরকে এই দিনেই বধ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। অসুরের প্রাসাদ থেকে উদ্ধার করেছিলেন ১৬ হাজার বন্দিনীকে। মৃত্যুর সময় না কি নরকাসুর বর চেয়েছিলেন কৃষ্ণের কাছে। সেই বর ছিল, এই দিনটি যেন জাঁকজমক ভাবে পালিত হয়। উল্লেখ্য, ১৬ হাজার জনকে উদ্ধার করার পরে কৃষ্ণ তাঁদের বিবাহ করেছিলেন।