-273ºc,
Friday, 2nd June, 2023 3:01 am
চারিদিকে জঙ্গল। মাঝে পাহাড়। চারিদিকে ছড়িয়ে আছে বড় বড় পাথর। আর এই গা ছমছমে জঙ্গলেই রয়েছে গুহা। অদূরেই ঝর্ণা। ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ির এই জায়গার নাম লালজল। গুহার নিচেই আছে দেবী দুর্গার মন্দির। আর সেখানেই হয় দেবী আরাধনা। পুজোর প্রচলন করেছিলেন জনৈক সাধু।
লালজলের এই গুহা আদিম মানুষের গুহা নামেই পরিচিত। পাহাড়ের ওপরে সেই গুহা। এখান থেকে না কি একসময় উদ্ধার হয়েছিল হাড়, আদিম মানুষের ব্যবহৃত একাধিক দ্রব্য। কথিত আছে, এই গুহাতে বসে ধ্যান করতেন এক সাধু। তিনিই এখানে দুর্গাপুজোর (DURGA PUJA) প্রচলন করেছিলেন। তাঁর নির্দেশ ছিল, এখানে যেন পুজো বন্ধ না হয়। তারপর থেকেই হয় নিত্য পুজো।
মন্দির রয়েছে গুহার ঠিক নিচেই। সেখানেই ছোট্ট আশ্রম। সেখানেই হয় দেবীর আরাধনা। এখানে নবমী’র পুজো ‘বাসন্তী পুজো’ নামে পরিচিত। এই পুজো দেখতে ভিড় জমান রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার মানুষ। দর্শনার্থী আসেন পাশের রাজ্য থেকেও। জনশ্রুতি, গুহায় আছে দেবী মূর্তি তবে তা দেখতে পাননি কেউই। আরও জনশ্রুতি, বহু বহু বছর আগে সাধু যখন গুহায় ধ্যান করতেন তখন তাঁর কাছে থাকত একটি হিংস্র বাঘ।
শোনা যায়, একবার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল পুজো। তখনই না কি এখানে শুরু হয় মাও উপদ্রব। এমনকি ওই সময়ে প্রথম পুলিশ খুন না কি এখানেই হয়েছিল। তাই পুজো আর বন্ধ রাখেননি লালজলবাসী। একসময় প্রত্নতত্ত্বের একাধিক সূত্র পেয়ে এখানে না কি খননকার্য চালানোর উদ্যোগ নিয়েছিল প্রত্নতাত্ত্বিক দফতর। তবে বিষধর সাপ থাকায়, তা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। দেখে আসবেন না কি সেই পুজো?
– নিসর্গ নির্যাস মাহাতো