24ºc, Haze
Thursday, 23rd March, 2023 4:39 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: অষ্টমী এবং নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে হয় সন্ধিপুজো। দুর্গাপুজোর (DURGA PUJA) অন্যতম আকর্ষণ এই পুজো। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, এই সময় দেবী যুদ্ধ করছিলেন মহিষাসুরের সঙ্গে। তবে এই তিথি’তে দেবী বধ করেছিলেন অন্য দু’ই অসুরকে।
চণ্ড এবং মুণ্ড নামক দু’ই অসুরকে বধ করেছিলেন দেবী। তখন তিনি ধারণ করেছিলেন চামুণ্ডা রূপ। সন্ধিপুজোতে দেবীর এই রূপের আরাধনাই করা হয়। আবার রামায়ণ অনুসারে, এই সময় রামচন্দ্রের অস্ত্র প্রবেশ করেছিল। এই তিথিতে পুজো করার জন্য রামের প্রয়োজন ছিল ১০৮টি নীল পদ্মের। মহাবীর হনুমান সেই পদ্ম আনেন। তবে পুজোর সময় দেবী ১টি পদ্ম লুকিয়ে ফেলেন। দেবী দেখতে চেয়েছিলেন রামের ভক্তি। সকলে বলতেন, দশরথ পুত্র রামের চোখ যেন নীল পদ্ম। তাই রামচন্দ্র নিজের তির ও ধনুক নিয়ে নিজের চোখ উপড়ে দেবীকে উৎসর্গ করতে উদ্যত হলে দেবী সাক্ষাৎ দেন ভক্ত রামকে। রামচন্দ্র বর পান দেবীর।
আবার কোনও রামায়ণে কথিত আছে, দেবীদহে ১০৭টি পদ্ম ছিল। সেই ১০৭টি পদ্ম এনেছিলেন হনুমান। কম ছিল ১টি পদ্ম। কেন ১টি পদ্ম কম বা দেবীদহে কেন পদ্ম? পোরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, দিনের পর দিন অসুর নিধন করার জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে দেবীর শরীরে ১০৮টি ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছিল। দেবাদিদেব তাতে ব্যথিত হন। দেবীকে শিব বলেছিলেন, দেবীদহে স্নান করলে ব্যথা লাঘব হবে। দেবী স্নানের সময় সেই ১০৭টি ক্ষত থেকে দেবীদহে তৈরি হয়েছিল ১০৭টি পদ্মের। অন্যদিকে, দেবীর ব্যথায় কষ্ট পেয়ে মহাদেবের চোখ থেকে একফোঁটা জল পড়েছিল দেবীর ১০৮ তম ক্ষতে। দেবী তখন স্নান করছিলেন দেবীদহে। ওই ক্ষতস্থানে মহাদেবের চোখের জল পড়ে জন্ম হয়েছিল আরও একটি পদ্মের। সেই পদ্ম হরণ করেছিলেন দেবী স্বয়ং। কারণ, স্বামীর চোখের জল থেকে সৃষ্ট পদ্ম তাঁর আরাধনার জন্য তাঁর চরণে আসুক তা চাননি তিনি।
অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট এবং নবমী তিথির শুরুর ২৪ মিনিট, মোট ৪৮ মিনিট ধরে হয় সন্ধিপুজো। পুজোর সময় ১০৮টি প্রদীপ, ১০৮টি বেলপাতা এবং ১০৮টি পদ্ম লাগে। নীল পদ্ম পাওয়া যায় না, তাই দেবীকে উৎসর্গ করা হয় লালপদ্ম।