নিজস্ব প্রতিনিধি: সব মেয়েদের একটাই চিন্তা থাকে, বিয়ের পর শাশুড়ি কেমন হবে? মায়ের মতো কী আদেউ হবে। সেক্ষেত্রে অনেকেরই ধারণা শাশুড়ি কখনই মা হয়না। তবে চাইলে শাশুড়িকেও নিজের মতো করে বানিয়ে নেওয়া যায়। আসলে সব সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতেই দরকার সম্মানের। আর মনে রাখবেন আপনার বর ওই শাশুড়ি মায়ের সন্তান। সুতরাং বরকে নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামার দরকার নেই। জানুন শাশুড়ির সঙ্গে ভাল সম্পর্ক গড়ার কৌশল!
বউমার ক্ষেত্রে
সম্মান করুন: আপনার শাশুড়ি বয়সে বড়, অভিজ্ঞতাও বেশি। তিনি দীর্ঘদিন সংসার করতে করতে সে ভালই অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। তাই শাশুড়ির প্রতি এমন সম্মান রাখুন যাতে শ্বশুর বাড়িতে আপনার সম্পর্ক শক্ত করবে।
শাশুড়িকে একা রাখবেন না: শাশুড়িকে কখনও একা রাখবেন না। কাজ থেকে ফিরেই বরকে বলুন মায়ের সঙ্গেও সময় কাটাতে। একসঙ্গে খেতে বসুন। গল্প করুন। আড্ডা দিন, তাতে সু সম্পর্ক গড়ে উঠবে শাশুড়ির সঙ্গে আপনার সম্পর্ক। মাঝে মাঝে আপনার কর্মক্ষেত্র নিয়েও গল্প করুন। আপনার কর্মক্ষেত্র নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে মতবিরোধ চলছে? প্রজন্ম অনুযায়ী শাশুড়ির মনের কথা পড়ার চেষ্টা করুন। বাইরের জগৎ সম্পর্কে শাশুড়ির ধারণা তৈরি করুন। দেখবেন সমস্যা অনেকটাই কমেছে।
সরাসরি সমালোচনা করবেন না: অনেক সময় বয়স হলে মানুষ অভিমান হয়। কিন্তু সেটিকে রাগ ভাববেন না। শাশুড়ি কারুর সমালোচনা করার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা উত্তর দেবেন না। তাঁর ভুল শুধরে দিন।
শাশুড়িদের ক্ষেত্রে
নিজের কথা ভাবুন: এই যে ছেলেকে বিয়ে দিয়েই ভাববেন না যেন এতদিন ধরে গড়ে ওঠা আপনার সংসার ভেঙে গেল। তাহলে ভুল করছেন। আপনিও কারও বাড়ির বউ হয়ে এসেছিলেন। নিজের মতো কোনও সমস্যাকে নিজের বউমাকে পড়তে দেবেন না।
রাগ পুষে রাখবেন না: বউমার কথায় আঘাত পেলে সেই রাগ মনে পুষে রাখবেন না। কথায় কথায় বউমাকে বুঝিয়ে দিন।