নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজারা মনে হয় এমনই। কারও কাছে নায়ক আবার কারও কাছে খল নায়ক। রাবণ তো রাজা। তিনিই তাই। সবাই তো আর সকলের কাছে ভালো হতে পারেন না! আজ ‘রাবণ পোড়া’ বা ‘দশেরা’। এই দিনেই রাবণকে হত্যা করেছিলেন রামচন্দ্র। তাই দিনটিতে পোড়ানো হয় রাবণের কুশপুতুল। তবে লঙ্কেশ্বরের (RAVANA) পুজোও হয়। শ্রীলঙ্কা তো বটেই, তাঁর পুজো হয় এই ভারতে এমনকি এই রাজ্যেই। আর রাবণ যেহেতু শিবের পরম ভক্ত। তাই তাঁর সঙ্গে পুজো হয় দেবাদিদেবেরও।
রাবণ পরম শিব ভক্ত, মহাজ্ঞানী, শাস্ত্রজ্ঞ। তিনি শিব তাণ্ডব রচনা করেছিলেন। ছিলেন অসাধারণ বীণা বাদক। তাঁর কৃতিত্ব কম নয়। তাই গত বছর ডিসেম্বরে মালদার চাঁচলের পাহাড়পুরে তাঁর পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, দশমীর দিনেই রাবণের জন্ম ও মৃত্যু।
রাজস্থানের যোধপুর, উত্তরপ্রদেশের কানপুর, উত্তরপ্রদেশের বিসরাখ, মধ্যপ্রদেশের রাবণগ্রাম, অন্ধ্রপ্রদেশের কাঁকিনাড়ায় রয়েছে রাবণের মন্দির। কারও কারও বিশ্বাস, বিসরাখে জন্মগ্রহণ করেছিলেন লঙ্কাধিপতি। যোধপুরের মাদ্গৌল সম্প্রদায়ের ব্রাহ্মণরা মনে করেন, তাঁদের পূর্বপুরুষ রাবণ। আবার অনেকের বিশ্বাস, রাবণগ্রাম বা মান্দসৌরে বিয়ে হয়েছিল লঙ্কেশ্বর এবং মন্দোদরীর। কানপুরের মন্দিরটি খোলা হয় বছরে একদিনই। সেই দিনটি দশমী।
শুনলে অবাক হবেন, পুরুলিয়ার পাহাড় ঘেরা অঞ্চল দুয়ারসিনি। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এখানেই রয়েছে রাবণের সিঁড়ি। প্রচলিত বিশ্বাস, রাবণ এখানে তৈরি করতে চেয়েছিলেন স্বর্গে যাওয়ার সিঁড়ি।