নিজস্ব প্রতিনিধি, অমৃতসর: দেশজুড়ে করোনা সুনামি রুখতে বিদেশের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করার দাবিতে সরব হয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তাতে হুঁশ ফেরেনি মোদি সরকারের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকদের। আর তাঁদের সেই গোঁয়ার্তুমির মূল্য চোকাতে হচ্ছে দেশবাসীকে। বৃহস্পতিবারের পরে শুক্রবারও অমৃতসর বিমানবন্দরে অবতরণ করা ইতালির এক বিমানের ২৯০ জন যাত্রীর মধ্যে ১৫০ জনের শরীরেই কোভিড শনাক্ত হয়েছে। আর ওই ঘটনা ঘিরে দেশে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আতঙ্কও শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবারই ইতালি থেকে অমৃতসরে নামা এক বিশেষ চার্টার্ড বিমানের ১৭০ যাত্রীর মধ্যে ১২৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছিল। ওই ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। যদিও ওই ১২৫ আক্রান্তের মধ্যে ১২ জন প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। ফলে মুখ পড়েছে প্রশাসনের। বিড়ম্বনায় পড়ে পলাতক ১২ করোনা আক্রান্তকে খুঁজে বের করার পাশাপাশি তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি।
অমৃতসর বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতালির মিলান শহর থেকে ২৯০ যাত্রী নিয়ে এদিন বিমানবন্দরের মাটি ছুঁয়েছিল এক বেসরকারি উড়ান সংস্থা নাইস এয়ারলাইন্সের বিমান। বিমানবন্দরে যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার পরে ১৫০ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। পর পর দুদিন বিদেশি বিমানের অর্ধেকের বেশি যাত্রীর করোনা শনাক্ত হওয়ার ঘটনায় বিমানবন্দর চত্বরে ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দেয়।
অন্যদিকে, দেশে করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘দেশে বর্তমানে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা তিজন হাজার দশ জন। তার মধ্যে ১,১৯৬ জন সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে মহারাষ্ট্র (৮৭৬)। তার পরেই রয়েছে দিল্লি। দেশের রাজধানীতে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬৫ জন।