নিজস্ব প্রতিনিধি: গোটা দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে রাজ্যেও বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। এইমত অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের পুরভোট সহ একাধিক জায়গায় নির্বাচন। ট্রেন চলাচলে বিধিনিষেধ, পাঠশালা বন্ধ, সিনেমা হল বন্ধ, লাগাম টানা হয়েছে পার্ক, জিম ও স্পা-সেলুনে। কিন্তু নির্বাচনে ছাড়? এই বিষয়ে রীতিমত ক্ষুদ্ধ আমজনতা। ঠিক সেই সময় বিশেষ বার্তা দিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার আলিপুরের জেলাশাসকের অফিসে রিভিউ বৈঠকে বসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই আলিপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক জানিয়ে দেন, ‘মানুষ বাঁচলে তবেই তো রাজনীতি। পরেও তো সেটা করা যাবে। আমার ব্যক্তিগত মতামত করোনা ঠেকাতে আগামী দু’মাস সব বন্ধ থাকুক। আমি বলব এখন ধর্ম-রাজনীতি- সবকিছুই বন্ধ করা উচিত। যে যে রাজ্যে ভোট হচ্ছে সেখানে পজিটিভিটি রেট উর্দ্ধমুখী হলে ভোট বন্ধ করা উচিত। কোনও একটা রাজনৈতিক দলকে খুশি করার জন্য ভোট করানো ঠিক নয়।’
অভিষেকের এই উত্তরে স্বাভাবিকভাবেই সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন তাহলে রাজ্যে আসন্ন চার পুরভোট নিয়ে কী বলবেন? উত্তরে কৌসুলি বার্ত দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘এটা হাইকোর্টের নির্দেশে হচ্ছে। রাজ্য সরকার ও কমিশন দেখছে আমার কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না। দুর্গাপুজো, কিংবা বড় মেলা না করাই ভালো। মানুষ বাঁচলে ফের উৎসব। নয়তো বাড়িতেই ছোট করে করুন।’ এই উত্তরের পর অভিষেককে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘গঙ্গাসাগর নিয়ে হাইকোর্ট যা যা নির্দেশ দিয়েছে সেটা মেনেই হবে সবকিছু।’
এছাড়াও শনিবার নিজের সংসদীয় এলাকার জন্য একগুচ্ছ নতুন উদ্যোগ নিচ্ছেন বলেই জানিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেছেন, ‘কারোর কোনও কোভিড উপসর্গ থাকলে তাঁদের জন্য ডক্টর অন হুইলস-এর ব্যবস্থা করছি। সেখানে যোগাযোগ করবেন করোনা রোগীরা। সেখানে ডাক্তারদের নিয়ে প্যানেল করছি। প্রয়োজনে সবরকম চিকিৎসার সাহায্য করা হবে। র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশাকর্মী সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে এক-একটি দল হবে। তাঁরা বাড়িতে গিয়ে করোনা পরীক্ষা করবেন। এছাড়া যে সমস্ত এলাকায় পজিটিভিটি রেট বেশি, সেই সমস্ত এলাকায় আইসোলেশন সেন্টার গড়ে তোলা হবে।’