নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: করোনার (Covid-19) বিরুদ্ধে লডা়ইয়ে দূরত্ববিধি, মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি চিকিৎসকমহল প্রথম থেকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছে টিকার ওপর। তাদের বক্তব্যকে প্রাধান্য দিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক শুরু করে টিকাকরণ (Vaccine) কর্মসূচি। কর্মসূচি শুরু হয়েছিল গত ১৬ জানুয়ারি। মাত্র ১৮ মাসের মধ্যে ভারতের টিকাপ্রাপকের সংখ্যা অতিক্রম করল ২০০ কোটির ঘর। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক (health ministry) বিশেষ বুলেটিন জারি করে জানিয়ে দিল এই সাফল্যের কথা।
টিকাকরণ (Vaccination) কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর মাত্র ২৭৭ দিনে একশো কোটি মানুষ করোনার টিকা পেয়েছিলেন। ওই বছর ১৭ সেপ্টেম্বর আড়াই কোটি মানুষ করোনার টিকা নিয়েছিলেন। ওই পরিসংখ্যান দেখে চিকিৎসকমহল কার্যত বিস্মিত হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের (health ministry) বুলেটিনে বলা হয়েছে, দেশের মোট জনসংখ্যার ৯৮ শতাংশ মানুষ করোনার একটি টিকা পেয়েছেন। আর ৯০ শতাংশ মানুষ করোনার দুটি টিকাই (Vaccine)পেয়েছেন। প্রথম দিকে টিকার ব্যাপারে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করছিল। অনেকে আবার টিকা (Vaccine)নিতে কিঞ্চিৎ ভীত ছিলেন। সরকার ও চিকিৎসকমহলের লাগাতার প্রচার চালিয়ে মানুষকে সচেতন (awareness) করে তোলার চেষ্টা করে। সেই প্রচার অনেকটাই কাজে আসে।
পাশাপাশি একটা ভয়ও কাজ করছিল। টিকা না নিলে যে কোনও সময় করোনায় আক্রান্ত হওয়ার হতে পারে — এই আশঙ্কা করে পরবর্তীকালে অনেকেই টিকার জন্য উৎসাহী হয়ে পড়েন। ফলে, সরকার গৃহীত টিকাকরণ (Vaccination) কর্মসূচি অনেকটাই সাফল্যের মুখ দেখে।