নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: কড়া বিধি-নিষেধেও লাভের লাভ কিছু হচ্ছে না। বরং মারণ ভাইরাস আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজারের বেশি। আগের দিনের তুলনায় সংক্রমণ ১৬ শতাংশের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সংক্রমণের হার। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৯.৬০ শতাংশ। অর্থাৎ নমুনা পরীক্ষায় প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের শরীরে মিলেছে করোনার সংক্রমণ। মারণ ভাইরাসের এমন বেনজির তাণ্ডবের মোকাবিলা কিভাবে করা যাবে, তা নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় দিল্লির স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ২০ হাজার ১৮১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। করোনার থাবায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন সাত জন। লাফিয়ে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা। রাজধানীতে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ১৭৮ জনে।’
রাজধানী দিল্লির পাশাপাশি দেশের তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পের রাজধানী হিসেবে পরিচিত বেঙ্গালুরুতেও করোনা সংক্রমণে রাশ টানা যাচ্ছে না। গত ২৪ ঘন্টায় বেঙ্গালুরুতে নতুন করে ৭ হাজার ১১৩ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে। কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকরের কথায়, ‘রাজ্যে করোনার মূলকেন্দ্র হয়ে উঠেছে বেঙ্গালুরু। রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের ৭৯ শতাংশই বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ক্ষেত্রেও একই ছবি দেখা গিয়েছিল।