নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: কুনো জাতীয় উদ্যানে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়া চিতার মৃত্যুমিছিল কিছুতেই রোখা যাচ্ছে না। শুক্রবার সকালে জঙ্গলের মধ্যেই নিথর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় সুরজ নামে নামিবিয়া থেকে আনা একটি চিতাকে। এ নিয়ে তিন দিনে দু-দুটি চিতার মৃত্যু হলো। গত মঙ্গলবারই তেজস নামে একটি চিতার মৃত্যু হয়েছিল। সবমিলিয়ে গত চার মাসে কুনোর জঙ্গে আটটি চিতা মারা গেল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের প্রকল্প ‘প্রজেক্ট চিতা’র অংশ হিসেবে গত সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১২টি এবং নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা আনা হয়েছিল। ২০টি চিতাই ছাড়া হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় অভয়ারণ্যে। গত মার্চে নামবিয়া থেকে আনা স্ত্রী চিতা ‘জ্বালা’ চারটি শাবকের জন্ম দিয়েছিল। ফলে চিতার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২৪। কিন্তু গত মার্চ মাসের শেষের দিকেই চিতার মৃত্যুমিছিল শুরু হয়। ২৭ মার্চ কিডনিতে সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয়েছিল নামিবিয়া থেকে আনা পাঁচ বছর বয়সী স্ত্রী চিতা শাসার। আর তার এক মাস যেতে না যেতে গত ২৪ এপ্রিল মারা যায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা পুরুষ চিতা উদয়। পুরুষ চিতাটির মৃত্যুর কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, ‘কার্ডিয়ো পালমোনারি ফেলিওর’-কে।
গত ৯ মে মৃত্যু হয় দক্ষ নামে আরও এক চিতার। যৌন মিলনের জন্য এক নম্বর খাঁচা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল দক্ষকে। আর সাত নম্বর খাঁচা থেকে বায়ু ও অগ্নি নামে দুই পুরুষ চিতাকে ছাড়া হয়েছিল। কিন্তু আচমকাই হিংস্র হয়ে দক্ষকে আক্রমণ করে দুই পুরুষ চিতা। গুরুতর জখম হয় দক্ষ। কিন্তু চিকিৎসকরা চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেননি। দক্ষের মৃত্যুর ১৫ দিন যেতে না যেতেই এক চিতা শাবকের মৃত্যু হয়। গত ২৫ মে আরও দু্ই শাবকের মৃত্যু হয়। গত ১১ জুলাই এক মহিলা চিতার সঙ্গে মারামারিতে প্রাণ হারায় তেজস নামে একটি চিতা। আর এদিন এক কোনে পড়ে থাকতে দেখা যায় সুরজকে। কীভাবে নামিবিয়া থেকে আনা চিতার মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখছেন বন আধিকারিকরা।