নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দুপুরেই অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। আর তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তিহাড় জেল থেকে ছাড়া পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শুক্রবার সন্ধ্যায় দীর্ঘ ৫০ দিন বাদে বাড়িতে পা রাখলেন আম আদমি পার্টির (আপ) সুপ্রিমো। তিহাড় জেল থেকেই বেরিয়ে হাজির সমর্থকদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ধন্যবাদ জানান তিনি। সেই সঙ্গে দলের কর্মী-সমর্থকদেরও প্রতিও অক্লান্ত লড়াইয়ের জন্য অভিনন্দন জানান। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন।
গত ২১ মার্চ দিল্লি হাইকোর্ট রক্ষাকবচের আর্জি খারিজ করে দেওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। ওই গ্রেফতারির নির্দেশকে নিম্ন আদালত ও দিল্লি হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। যদিও তাতে কোনও লাভ হয়নি। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি স্বর্ণকান্তা শর্মা তো ইডির গ্রেফতারিকে বৈধ বলেই রায় দিয়েছিলেন। দিল্লি হাইকোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পরে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন কেজরি। ওই মামলার শুনানিতেই ভোট প্রচারের কারণে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার ইঙ্গিত দিয়েছিল বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ। ইডির তীব্র আপত্তি সত্বেও এদিন ভোট প্রচারের জন্য আগামী ১ জুন পর্যন্ত কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেন বিচারপতিরা।
বিকেলেই আদালতের রায় নিয়ে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা করেন কেজরির আইনজীবী। দলনেতার মুক্তির খবর পেয়েই বিকেলে তিহাড় জেলের চার নম্বর গেটের কাছে জড়ো হয়েছিলেন আপ নেতা-কর্মীরা। হাজির ছিলেন কেজরিওয়ালের পত্নী সুনীতা কেজরিওয়াল, দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ, আতিশী মারলেনারা। জেল থেকে বেরিয়ে দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বৈরতন্ত্রকে যতক্ষণ পর্যন্ত পরাজিত না করা যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই চলবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ধন্যবাদ। তাছাড়া যারা আমার হয়ে লড়াই করছেন, আমায় আশীর্বাদ দিয়েছেন, তাদের সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’