নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: লোকসভায় মঙ্গলবারই পেশ হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত মহিলা সংরক্ষণ বিল। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘাওয়াল ওই বিল পেশ করেছেন। ওই বিল পাশ হওয়ার পরে নয়া আইন কার্যকর হলে লোকসভায় মহিলাদের জন্য ১৮১টি আসন সংরক্ষিত থাকবে। অর্থাৎ লোকসভায় ১৮১ জন মহিলা সাংসদ প্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ পাবেন। স্বাধীনতার ৭৫ বছর বাদেও বর্তমানে লোকসভায় মোট সাংসদের মাত্র ১৫ শতাংশ। শুধু তাই নয়, সংসদের নিম্নকক্ষে মহিলা সাংসদের সংখ্যার নিরিখে পড়শি দুই দেশ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষিত ‘বিশ্বগুরু’ ভারত।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন’-এর তথ্য বলছে, গোটা বিশ্বে সংসদের নিম্নকক্ষগুলিতে মহিলা সাংসদদের সংখ্যা গড়ে ২৬ জন। ১৯৫৬ সালেই ভারতের পড়শি দেশ পাকিস্তানে মহিলাদের জন্য সংসদ ও প্রাদেশিক সভাগুলিতে সংরক্ষণ চালু করা হয়েছিল। ২০২০ সালে মহিলাদের জন্য ১৭ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা হয়। যদিও ভেঙে দেওয়া পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে মহিলা সাংসদদের সংখ্যা ছিল ২০ শতাংশ।
আর এক পড়শি দেশ বাংলাদেশে ৩৫০ আসন বিশিষ্ট জাতীয় সংসদের ৫০ আসন শুধু মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তাছাড়া বাকি ৩০০ আসনের মধ্যে ২১ আসনে জয়ী হয়েছেন মহিলারা। ২০০৭ সালেই নেপালের সংসদে ৩৩.০৯ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সংসদে মহিলা সাংসদদের সংখ্যা ২৯ ও ৩৫ শতাংশ। সবচেয়ে কম মহিলা সাংসদ রয়েছেন ওমানে (২ শতাংশ)। কুয়েত, কাতার ও শ্রীলঙ্কায় মহিলা সাংসদের সংখ্যা যথাক্রমে ৩, ৪ ও ৫ শতাংশ।