নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: কর্নাটকে দলকে ক্ষমতায় ফেরাতে তাঁর কাঁধেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির গুরুদায়িত্ব সঁপেছিলেন সোনিয়া গান্ধি। এমনকী আয় বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়ে তিনি যখন দিল্লির তিহাড় জেলে ছিলেন, তখন রীতি ভেঙ্গে দেখতে পৌঁছে গিয়েছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি। ফলে সোনিয়ার প্রতি তাঁর আলাদা শ্রদ্ধা রয়েছে। আর সেই কারণেই প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রীর অনুরোধ মেনে জেদ ছেড়ে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ গ্রহণে রাজি হয়েছেন ডি কে শিবকুমার।
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিতে কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অনড় থাকায় সোনিয়া গান্ধির দ্বারস্থ হন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। ডি কে শিবকুমারকে বোঝাতে অনুরোধ জানান। সেই মতো বুধবার রাতে কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে কথা বলেন সোনিয়া। দলের স্বার্থে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করে সরকার গঠন নিয়ে জটিলতা কাটানোর অনুরোধ জানান। দলের প্রাক্তন সভানেত্রীর সেই অনুরোধ আর ফেলতে পারেননি কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। রাতেই দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে জানিয়ে দেন, ‘উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব নিতে রাজি।’
কেন আচমকা নিজের অবস্থান থেকে পিছু হঠলেন তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গিয়ে ডি কে শিবকুমার বলেন, ‘আমি বার বার বলেছি, দলের একজন একনিষ্ঠ কর্মী। কোনও পদের প্রতি মোহ নেই। বিচারকরা যে রায় দেন তা মানতে যেমন সবাই বাধ্য থাকেন, আমিও তেমন হাইকম্যান্ডের নির্দেশ মানতে বাধ্য।’ সূত্রের খবর, সোনিয়ার হস্তক্ষেপে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে জটিলতা কাটায় অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।