নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আগামী বৃহস্পতিবারও হচ্ছে না দিল্লির মেয়র নির্বাচন। কেননা, পরের দিন সুপ্রিম কোর্টে এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে। ফলে মেয়র নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে মেয়র নির্বাচন নিয়ে সোমবার শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি শিবির। সাধারণ মানুষের ভোটে হারার পরেও দিল্লি পুরসভার মেয়র পদ পিছনের দরজা দিয়ে দখলের চেষ্টা চালিয়েছিল গেরুয়া শিবির। এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আইন অনুযায়ী, মনোনীত সদস্যদের ভোটাধিকার নেই।’ ফলে উপরাজ্যপাল বিনয় সাক্সেনাকে দিয়ে পছন্দের ১০ জনকে অল্ডারম্যান হিসেবে নিয়োগ করেও কোনও ফায়দা হচ্ছে না বিজেপি নেতৃত্বের।
গত ডিসেম্বরে দীর্ঘ ১৫ বছর বাদে দিল্লি পুরসভা হাতছাড়া হয়েছিল বিজেপির। ২৫০ ওয়ার্ড বিশিষ্ট পুরসভায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি নিরব্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। কিন্তু ওই হার হজম হয়নি বিজেপি নেতৃত্বের। মেয়র পদ পিছনের দরজা দিয়ে দখল করার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নেয় পদ্ম শিবির। আচমকাই উপরাজ্যপাল বিনয় সাক্সেনা বিজেপির সুবিধা করে দিতে দিল্লি সরকারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই ১০ জনকে অল্ডারম্যান হিসেবে নিয়োগ করেন। ওই নিয়োগকে কেন্দ্র করে সঙ্ঘাতে জড়ায় আপ ও বিজেপি কাউন্সিলররা। ইতিমধ্যেই তিন তিনবার মেয়র নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করলেও যুযুধান দুপক্ষের কাউন্সিলরদের হাতাহাতির কারণে ভোট করানো যায়নি।
এর পরেই মেয়র নির্বাচন নির্বিঘ্নে করানোর দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় আপ। এদিন মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁর পর্যবেক্ষণ মন্তব্যে বলেন, ‘আইনে পরিস্কার, অল্ডারম্যানদের কোনও ভোটাধিকার নেই।’ আর শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির ওই পর্যবেক্ষণ মন্তব্যে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে পদ্ম শিবির। অল্ডারম্যানদের ভোটাধিকার খারিজ হয়ে যাওয়ার ফলে অঙ্কের বিচারে অনেকটা এগিয়ে গেল আম আদমি পার্টি। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ ফেব্রুয়ারি। আর সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশের পরেই ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মেয়র নির্বাচন স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে উপরাজ্যপালের কার্যালয়। শীর্ষ আদালতের পরবর্তী নির্দেশের পরেই মেয়র নির্বাচনের নতুন দিনক্ষণ ঘোষণা হবে।