নিজস্ব প্রতিনিধি: গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চাইলেন মহুয়া মৈত্র। তৃণমূলের তরফে সাংসদ মহুয়াকে গোয়ার সংগঠনের দায়িত্ব দিতেই ময়দানে নেমে পড়েছেন। শুক্রবার পশ্চিমের দ্বীপরাজ্যে গিয়ে মহুয়া সাংবাদিক সম্মেলনে সোজা টার্গেট করেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তকে। সাংবাদিক সম্মেলনে মহুয়া তথ্য দিয়ে জানিয়েছেন, ‘গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে প্রমোদ সাওয়ান্ত ছিলেন একজন আয়ুর্বেদের চিকিৎসক। কিন্তু আচকাই তাঁর নামে একাধিক সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। যার মধ্যে একটি ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্রের সিন্ধুদূর্গ জেলার তালেখোল গ্রামে ১.২ হেক্টরের একটি পাথর খাদান নিজের নামে কিনেছেন গোয়ার বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী।’
এই বিষয়ে মহুয়া জানিয়েছেন, ‘প্রমোদ সাওয়ান্ত মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে একজন সাধারণ মানের সরকারি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ছিলেন। তিনি পাথর খাদান কেনার মতো অর্থ পেলেন কোথায়? এর সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিৎ। প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব আপনার দলের একজন মুখ্যমন্ত্রী কী পরিমাণ দুর্নীতিতে জড়িত দেখুন। গোয়ায় অবৈধ খাদানের ব্যবসা চলছে। নিয়ম মেনে এগুলির কোনও নিলাম হয়নি। গোয়ার বিজেপি সরকার এই খাদান নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও নীতি আজও তৈরি করতে পারেনি।’ এদিন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদপ্রার্থী লুইজিনহো ফালেরিও এবং যতীশ নায়েককে নিয়েই সাংবাদিক সম্মেলন করেন মহুয়া।
তিনি গোয়া সরকারের বিরুদ্ধে আরও তোপ দাগেন। মহুয়া প্রশ্ন করেছেন, আইনি লড়াইতে হেরেও মহাদেই নদীর জল কীভাবে পাচ্ছে কর্ণাটক সরকার? এই জল বণ্টন নিয়ে কর্ণাটক সরকারের সঙ্গে গোয়া সরকারের মামলা চলছিল ট্রাইবুনালে। মামলায় কর্ণাটক সরকার হেরে যায়। তা সত্ত্বেও কিভাবে কোন ডিলের ভিত্তিতে জল পাচ্ছে কর্ণাটক? বেশকিছুদিন আগে দিল্লিতে গিয়ে কর্ণাটকের এক প্রভাবশালী নেতা প্রকাশ্যে দাবি করেছিলেন, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ডিল ফাইনাল হয়ে গিয়েছে কর্ণাটকের জল পেতে আর কোনও সমস্যা হবে না। হচ্ছেও তাই। এই সবকিছুর তদন্তের দরকার।