নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সুপ্রিম কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে গুজরাত হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আদেশ দেওয়া সাংবিধানিক দর্শনের বিরুদ্ধে বলে কড়া নিন্দা শীর্ষ আদালতের। গুজরাতের একটি ধর্ষণের ঘটনায় গর্ভপাতের মামলায় গুজরাত হাইকোর্টের সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত নির্যাতিতার গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু সেই রায়ের পরে গুজরাত হাইকোর্ট আবেদনকারীকে ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করেছিল।
গত সপ্তাহে, বিচারপতি বি ভি নাগারত্না এবং বিচারপতি উজ্জল ভূঁইয়ার বেঞ্চ জরুরি ভিত্তিতে নির্যাতিতা তরুণীর গর্ভপাত করার আর্জির পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে মেডিকেল পরীক্ষা করার নির্দেশ দেয়। ২০ অগস্টের মধ্যে হাসপাতাল থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়। সোমবার শুনানি চলাকালীন আবেদনকারীর আইনজীবী শীর্ষ আদালতকে জানান, ২৫ বছর বয়সী তরুণী ৭ অগস্ট হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। পরের দিন আবেদন নেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্ট ৮ অগস্ট গর্ভধারণের অবস্থার পাশাপাশি আবেদনকারীর স্বাস্থ্যের অবস্থা নিশ্চিত করার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেয়। মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট ১০ অগস্ট জমা দেওয়া হয়।
শীর্ষ আদালত উল্লেখ করে যে রিপোর্টটি হাইকোর্ট ১১ অগাস্ট রেকর্ডে নিয়েছিল কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বিষয়টি ১২ দিন পরে অর্থাৎ ২৩ অগস্টে তালিকাভুক্ত করা হয়। এই কালবিলম্বেরও নিন্দা করে শীর্ষ আদালত। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, শনিবারের আদেশটি শুধুমাত্র একটি “করণিক ত্রুটি” । আগের আদেশে একটি করণিক ত্রুটি ছিল এবং সেটি শনিবার সংশোধন করা হয়েছিল। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আদেশ প্রত্যাহার করার জন্য গুজরাত হাইকোর্টকে অনুরোধ জানানো হবে।