এই মুহূর্তে




পহেলগাঁও হামলার সন্ত্রাসীদের খোঁজে যৌথ তল্লাশি আভিযান চালাল ভারত ও নেপাল




নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়া দিল্লি: সদ্য অজ্ঞাত হানায় মৃত্যু হয়েছে পাকিস্তানি লস্কর-ই-তৈবার খাস সন্ত্রাসী সাইফুল্লাহ খালিদ। নেপাল থেকে সন্ত্রাস পরিচালনা করত সে। ভারতে অন্তত তিনটি হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল তার নাম। ফলে সন্ত্রাসবাদীদের ভারতে হামলা চালিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে নেপাল চলে যাওয়া খুব সহজ। কারণ আন্তর্জাতিক সীমান্ত একবার পেরোলে ভারত নেপালের অনুমতি ব্যাতীত কিছুই করতে পারবে না। গত মাসে ঘটে যাওয়া পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসীরা এখনও অধরা। গোয়েন্দাদের সন্দেনহ তারা নেপালেই পালিয়ে গিয়েছে, সেখানেই গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। নয়াদিল্লির থেকে এই তথ্য পাওয়ার পর শুক্রবার ভারত ও নেপাল আন্তর্জাতিক সীমান্তে দুই দেশের রক্ষীরা মিলে একটি যৌথ টহল অভিযান পরিচালনা করে।

ভারত ও নেপালের মধ্যে ১,৭০০ কিলোমিটারেরও বেশি সীমান্ত রয়েছে। ভারতীয় সশস্ত্র সীমা বল (SSB) এবং নেপালের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (APF) দুই দেশের মধ্যে অবস্থিত নো-ম্যানস ল্যান্ডের ঘন জঙ্গলে যৌথভাবে অনুসন্ধান চালায়।

এসএসবি কমান্ড্যান্ট গঙ্গা সিং এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “যৌথ টহলদারিরর সময় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেপালের সেনা আমাদের পাশে আছে। নেপালি বাহিনীর সঙ্গে আমাদের খুব ভাল সম্পর্ক রয়েছে। প্রতি মাসে উভয় দেশের সীমান্ত বাহিনীর সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। তারা আমাদের সঙ্গে নিজেদের তাদের গোয়েন্দা তথ্য ভাগ করে নিচ্ছে এবং আমরা তাদের সঙ্গে আমাদের তথ্য ভাগ করে নিচ্ছি যাতে সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করা যায়।”

তিনি আরও বলেন যে নেপালগঞ্জে ইসলামিক সংগঠন মার্কাজ ছিল। সেখানে বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য পাকিস্তানিরা প্রায়শই যাতায়াত করে। এসএসবি বাহিনী ওয়াচ টাওয়ার থেকে নেপাল সীমান্তের উপর নজর রাখছে এবং যে কোনও সমস্যা মোকাবিলার জন্য তারা প্রস্তুত।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা যত বৃদ্ধি পেয়েছে, নেপাল সরকার ততই নয়াদিল্লির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে, নেপালের বিদেশ মন্ত্রক আগেই জানিয়েছিল, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেপাল সকলের সঙ্গে এক সারিতে দাঁড়িয়েছে। তার নীতিগত অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, নেপাল নিজের দেশের মাটি প্রতিবেশী দেশগুলির বিরুদ্ধে আক্রমণের জন্য কোনও শত্রু শক্তিকে ব্যবহার করতে দেবে না।”

২২শে এপ্রিলের পহেলগাঁও হামলায় সন্ত্রাসীরা ২৫ জন পর্যটককে হত্যা করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন নেপালি নাগরিকও ছিলেন। পর্যটকদের বাঁচাতে গিয়ে নিহত হয়েছিলেন এক স্থানীয় পনি চালক।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘প্রত্যেক আমেরিকান আমাদের লক্ষ্যবস্তু’, মার্কিন হামলার পর ইরানি গণমাধ্যমের বড়সড় সতর্কবার্তা

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের প্রভাব ভারতীয় বাণিজ্যে, প্রবল ক্ষতির আশঙ্কায় চাল ব্যবসায়ীরা

ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালানোয় ‘গডফাদার’ ট্রাম্পকে অভিনন্দন নেতানিয়াহুর

ইরানের ৩ পরমাণু ঘাঁটিতে হামলা আমরিকার, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের রণদুন্দুভি বাজালেন ‘খ্যাপাটে’ ট্রাম্প

বোকারোতে অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিশ পাওয়া গেলেও ‘মূল মাস্টারমাইন্ড’ পলাতক, খুঁজছে পুলিশ

ইরানকে পরমাণু কর্মসূচিতে সাহায্য করতে প্রস্তুত রাশিয়া, জানালেন পুতিন

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ